প্রতীকী ছবি।
উত্তরবঙ্গে শিশুমৃত্যু চলছেই। রবিবার রাত থেকে ফের চারটি শিশু মারা গিয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তারা কেউই জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যায়নি বলে সোমবার ফের দাবি করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে এ দিন জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে রয়েছে ১০ বছরের এক বালিকা। বাড়ি জলপাইগুড়িতে। দু’টি শিশু জলপাইগুড়ির, একটি ময়নাগুড়ির, একটি নাগরাকাটার বাসিন্দা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ বছরের যে বালিকার হৃদরোগ ছিল। বাকি তিনটি শিশু সদ্যোজাত। তার মধ্যে সিভিয়ার বার্থ অ্যাসপেক্সিয়া, নির্দিষ্ট সময়ের আগে জন্ম, ওজন কম থাকার কারণে মারা গিয়েছে ৯ দিনের এক সদ্যোজাত। বাড়ি জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে। ৩ দিনের এক সদ্যোজাত মারা গিয়েছে পেরিনেটাল অ্যাসপেক্সিয়ায়। তার বাড়ি বিনাগুড়িতে। নাগরাকাটার বাসিন্দা ৩৯ দিনের এক শিশু মারা গিয়েছে। কনজেনিটাল ডিজ়িজ় ছিল বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
হাসপাতাল সুপার সঞ্জয় মল্লিক বলেন, ‘‘এ দিন জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে কেউ মারা যায়নি। তবে অন্যান্য অসুখ, জন্মের সময় ওজন কম, বার্থ অ্যাসপেক্সিয়া, সেপ্টিসিমিয়ার কারণে রবিবার বিকেল থেকে এ দিন দুপুর পর্যন্ত ৪টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ১০ বছরের এক বাচ্চা রয়েছে। নিউমেটিক হার্ট ডিজ়িজ় ছিল। তা থেকে কার্ডিওজেনিক শক হয়ে রোগী মারা গিয়েছে।’’ তবে সদ্যোজাতদের একাংশের ওজন কম থাকার জন্য সমস্যা বেশি হচ্ছে বলে অভিযোগ। সুপার জানান, মায়েদের অপুষ্টি তার একটি অন্যতম কারণ। তবে তা ছাড়াও অন্য সমস্যা থেকেও তা ঘটতে পারে।
অন্য দিকে, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও জ্বর-সর্দি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে সোমবার সকালে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকদের যদিও দাবি, শিশুটির হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, গত কয়েকদিনে জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে গড়ে ২০-৩০টি করে শিশু ভর্তি হচ্ছিল। রবিবার ৫০ জন ভর্তি হয়। মোট ১৪০টি শিশু ভর্তি রয়েছে বর্তমানে। হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান কৌস্তুভ নায়েকের দাবি, দিনে ৩০-৩৫টি করে শিশু ছুটি পেয়ে বাড়ি ফিরছে। তার পরেও ভর্তি থাকা শিশুর সংখ্যায় খুব একটা হেরফের হচ্ছে না।
ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু। নদিয়ার কৃষ্ণনগরে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক যুবকের। কৃষ্ণনগরের ২ নম্বর বাচ্চুপল্লি এলাকার বাসিন্দা ওই যুবকের নাম আনোয়ার শেখ (৩২)। সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ মতিসুন্দরী রেল গেটের কাছে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি রেললাইন ধরে হাঁটছিলেন। বহরমপুরগামী একটি মালগাড়ি পিছন দিক থেকে তাঁকে ধাক্কা মারে।