Abdus Sattar

কংগ্রেস ছাড়লেন প্রাক্তন বাম মন্ত্রী আব্দুস সাত্তার, হলেন মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা

বামফ্রন্ট সরকারের সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার এই নেতা। ২০১৮ সালে সিপিএম ছেড়ে তৎকালীন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের হাত ধরে কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৪ ২৩:২৬
Share:

আব্দুস সাত্তার (বাঁ দিক থেকে দ্বিতীয়)। —ফাইল চিত্র।

কংগ্রেস ছাড়লেন বাম জমানার মন্ত্রী আব্দুস সাত্তার। রাজ‍্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর সংক্রান্ত মুখ্য উপদেষ্টার পদে যোগদানের পরে মঙ্গলবার কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারের কাছে তিনি ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর।

Advertisement

বামফ্রন্ট সরকারের সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার এই নেতা। ২০১৮ সালে সিপিএম ছেড়ে তৎকালীন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের হাত ধরে কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বাদুড়িয়া থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন সাত্তার। কিন্তু জিততে পারেননি। মঙ্গলবারই রাজ্য সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সাত্তারকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা পদে নিয়োগের কথা জানিয়েছে।

সাত্তারের দলত্যাগ প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় লিখিত বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘অনেকদিন ক্ষমতার বাইরে থেকে উনি হাঁপিয়ে উঠেছিলেন বোধ হয়। তাই ন্যায় নীতিহীন, সুবিধাবাদী এই আত্মসমর্পণ। কংগ্রেস করতে অনেক শক্ত মেরুদণ্ড আর ত্যাগ-তিতিক্ষা লাগে, যেটা আমাদের হাজার হাজার কর্মী অন্যায়ের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ে প্রমাণ করেছেন। আমাদের দলে এ সবের কোনও প্রভাব পড়বে না।’’

Advertisement

উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া বিধানসভার আসন্ন উপনির্বাচনে সাত্তারকে গত ২৫অক্টোবর পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। কিন্তু সেই দায়িত্ব নিতে অপারগতার কথা জানিয়ে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘বর্তমানে আমি সপরিবারে কলকাতার বাইরে। নভেম্বর ১ তারিখে কলকাতায় ফিরব। আবার, ৫ নভেম্বর থেকে নিয়মিত কলেজে পঠন-পাঠনে যুক্ত থাকতে হবে। ইতিমধ্যে উপনির্বাচনের প্রচার জোর কদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। এক জন পর্যবেক্ষক-এর সময়, পরিকল্পনা এবং খরচ করার সামর্থ্য থাকতে হয়, যা আমার এখন নেই। তাই অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হোক।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement