নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক (বাঁ-দিকে) গদাধর হাজরা এবং দলের নেতা কাজল শেখের ‘দ্বন্দ্বে’ অতীতেও উত্তপ্ত হয়েছে এলাকা।
দলীয় নেতা কাজল শেখের কর্মসূচিতে গরহাজির থাকলেন নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক তৃণমূলের গদাধর হাজরা। অভিযোগ, সোমবারের ওই কর্মসূচিই শুধু নয়, সাম্প্রতিককালে কাজলের কোনও কর্মসূচিতেই তাঁকে দেখা যাচ্ছে না। অথচ, কাজল-বিরোধী গোষ্ঠী বলে পরিচিতদের কর্মসূচিতে থাকছেন তিনি। ফলে নানুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পড়েছে বলে অভিযোগ।
সোমবার নানুরের পাকুরহাস গ্রামে তৃণমূলের অঞ্চলভিত্তিক কর্মসূচি হয়। সেখানে নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরাকে দেখা যায়নি। সেখানে অন্যান্য তৃণমূল নেতা থাকলেও কাজল বিরোধী হিসাবে পরিচিত গদাধরকে দেখা যায়নি।
যদিও গদাধর এবং কাজল, দু’জনেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছেন। কাজলের দাবি, ‘‘দলকে যাঁরা ভালবাসেন, তাঁরা নিজেরাই এসেছেন। কাউকে ডাকা হয়নি। তবে আমাদের দলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই।’’ অন্য দিকে, গদাধরেরও দাবি, ‘‘কাজল শেখের সঙ্গে আমার কোনও দ্বন্দ্ব নেই।’’ বরং তাঁর অভিযোগ, ‘‘নানুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্যের গোষ্ঠী এ সব করানোর চেষ্টা করছে।’’
তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত গদাধর। অন্য দিকে, নানুরের তৃণমূল নেতা কাজলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়েও সদর্থক কথা শোনা যায় না। বরং নানুরের তাঁরা দু’টি ভিন্ন গোষ্ঠী বলেই পরিচিত। অভিযোগ, অতীতেও এই দু’গোষ্ঠীর সংঘর্ষের কারণে নানুর উত্তপ্ত হয়ে থাকত। এমনকি, কাজল এবং গদাধর, এই দু’গোষ্ঠীর সংঘর্ষে এলাকায় বহু বার বোমাবাজি ও গুলি চলেছে।