বিদ্যুতের মাসুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলনে সামিল হচ্ছেন প্রাক্তন বিদ্যুৎমন্ত্রী শঙ্কর সেন। বাম জমানার এই বিদ্যুৎমন্ত্রী দীর্ঘ দিন জনজীবনের কোনও আন্দোলনের মঞ্চ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন। বিদ্যুতের মাসুল নিয়ে প্রতিবাদে তাঁকে আবার সামনে নিয়ে আসতে পেরেছেন প্রসেনজিৎ বসুরা। প্রাক্তন সিপিএম নেতা প্রসেনজিৎ ও তাঁর সহযোগীরা আগামী ১৮ জুন কলকাতার মৌলালি যুব কেন্দ্রে বিদ্যুৎ মাসুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে যে নাগরিক কনভেনশনের আয়োজন করেছেন, তার উদ্বোধন করার কথা শঙ্করবাবুর। নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক রং বাদ রেখে ওই কনভেনশনের মঞ্চে থাকার কথা বেশ কিছু অর্থনীতিবিদ, অধ্যাপক ও বিশিষ্ট জনের। ‘বিদ্যুৎ মাসুল বৃদ্ধির বিরুদ্ধে গণআন্দোলনে’র তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনলাইন পিটিশনেও প্রথম সই করেছেন শঙ্করবাবু।
আন্দোলনের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে উদ্যোক্তাদের তরফে প্রসেনজিৎ বলেন, ‘‘সম্প্রতি বিদ্যুতের মাসুল ইউনিট পিছু দু’পয়সা করে কমেছে বলে বিবৃতি দিয়ে বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্ত বিধানসভাকে বিভ্রান্ত করেছেন। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের এলাকায় মাসুল দু’পয়সা করে কমলেও ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষেই সিইএসসি গড়ে ১৪% বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। সরকার সে ব্যাপারে নীরব! আর বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমও ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ সালে মাসুল বাড়ানোর জন্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কাছে আবেদন করেছে।’’
সব মিলিয়ে গৃহস্থের বিদ্যুতের বিল ঊর্ধ্বমুখী হবে এবং তার প্রতিবাদেই তাঁদের এই আন্দোলন বলে প্রসেনজিতের ব্যাখ্যা।