বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। —ফাইল চিত্র
হাসপাতালে ভর্তি করা হল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। পরিবার সূত্রে খবর, বুধবার রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায়, তাঁকে ভর্তি করা হয় দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তাঁর সুস্থতা কামনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মুখ্যমন্ত্রী সন্ধ্যায় হাসপাতালে গিয়ে তাঁর স্ত্রী-কন্যার সঙ্গে দেখা করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক পরিস্থিতির বিষয়ও খোঁজ নেন।
দীর্ঘদিন ধরেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সেই সমস্যা আরও বাড়ে। তার পর চিকিৎসকদের পরামর্শমতো দুপুর দু’টো নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন সিপিএম নেতা।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, বুদ্ধদেব স্থিতিশীল রয়েছেন। তাঁকে মেকানিক্যাল সাপোর্টে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি যাবতীয় শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একটি সূত্রে খবর, তাঁর চিকিৎসায় গঠন করা হতে পারে মেডিক্যাল টিম। হাসপাতালের পক্ষ থেকে মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘সংজ্ঞাহীন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। তখন তাঁর রক্তে অক্সিজেন সংবহনের মাত্রা ছিল ৭০ শতাংশ। তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। নিউমোনিয়া রয়েছে। তবে আরটিপিসিআর বা র্যাপিড টেস্টে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ। বর্তমানে তাঁর রক্তে অক্সিজেন সংবহনের মাত্রা ৯৫ শতাংশ। রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন স্থিতিশীল। অবস্থা গুরুতর হলেও তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: মতুয়ারা সবাই দেশের নাগরিক, এনআরসি করতে দেব না: মমতা
আরও পড়ুন: বঙ্গসফরে নড্ডার ‘হামলা’ শুরু হচ্ছে মমতা-অভিষেকের খাসতালুক দিয়ে
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর হাসপাতালে ভর্তির খবর শুনে টুইটে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্রুত আরোগ্য কামনাও করেছেন। টুইট করে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার কামনা করেছেন রাজ্যপালও।
গত বছরের সেপ্টেম্বরেও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তবে সেই সময় নিউমোনাইটিসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার পর থেকে বাড়িতেও নিয়মিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন তিনি। বুধবার সমস্যা বাড়ার পর পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। তার পরেই নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।