তা হলে বাঘ কি ঝাড়খণ্ডের পথে!

ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ির জঙ্গলপথে অবশ্য এ দিন নতুন করে অজানা প্রাণীর পায়ের ছাপ মিলেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বেলপাহাড়ি ও রানিবাঁধ শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:৩৪
Share:

ছবি পিটিআই।

তার খোঁজে জঙ্গলে বসানো হল ক্যামেরা। গ্রামবাসী বাঘ চাক্ষুষ করার দাবিও তুললেন। তবে তিন দিনেও স্পষ্ট হল না জঙ্গলমহলের দুই জেলায় যে প্রাণীর পায়ের ছাপ মিলেছে, তা সত্যি বাঘ কিনা।

Advertisement

বাঘের হদিস পেতে মঙ্গলবার বাঁকুড়ার রানিবাঁধে সুন্দরবন থেকে আনা পাঁচটি ক্যামেরা ট্র্যাপ জঙ্গলে বসানো হয়েছে বলে জানান ডিএফও (বাঁকুড়া দক্ষিণ) দেবাশিসমহিমাপ্রসাদ প্রধান। তিনি বলেন, “নতুন করে আর ওই জন্তুর পায়ের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ঝাড়গ্রামের বিনপুর ও বাঁকুড়ার রানিবাঁধে একই পশুর পায়ের ছাপ মিলেছে বলে মনে হচ্ছে। একটি পশুই দুই জেলার জঙ্গলে ঘুরছে।”

ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ির জঙ্গলপথে অবশ্য এ দিন নতুন করে অজানা প্রাণীর পায়ের ছাপ মিলেছে। বিকেলে বেলপাহাড়ি গিয়ে পায়ের ছাপ দেখেন মুখ্য বনপাল (পশ্চিম চক্র) শক্তিশঙ্কর দে। বন দফতরের অনুমান, প্রাণীটি ঝাড়খণ্ড সীমানা অভিমুখে রওনা দিয়েছে। তাই বিনপুরের মালাবতীর জঙ্গল থেকে ফাঁদ-খাঁচা তুলে এ দিন বেলপাহাড়ি রেঞ্জ অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই জঙ্গলের কয়েক জায়গায় লাগানো ক্যামেরা ট্র্যাপেও প্রাণীটির কোনও হদিশ মেলেনি। বেলপাহাড়ির জঙ্গলে নতুন করে কিছু ট্রাপ-ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। ডিএফও (ঝাড়গ্রাম) বাসবরাজ হলেইচ্চি বলেন, ‘‘যেহেতু ট্র্যাপ-ক্যামেরায় প্রাণীটির কোনও ছবি পাওয়া যায়নি, তাই সেটি কী এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’’

Advertisement

তবে এ দিন ভোরে বাঘ দেখার দাবি করেন বিনপুরের পাথরচাকড়ি গ্রামের এক বাসিন্দা। বন দফতরের অনুমান, ঘন কুয়াশায় নেকড়ে বা বনবিড়াল জাতীয় প্রাণী দেখেই বাঘ ঠাওরেছেন তিনি। বছর দুয়েক আগে লালগড়ে যখন প্রথম বাঘের দেখা মিলেছিল, তখন বাঘের হানায় বিভিন্ন জন্তু, এমনকি গ্রামবাসীরাও জখম হয়েছিলেন।

এ বার অবশ্য অজানা প্রাণীর হামলায় কারও জখম হওয়ার খবর গত তিন দিনে পাওয়া যায়নি। তাহলে প্রাণীটি খাচ্ছেটা কী? বনকর্মীদের অনুমান, জঙ্গলে পর্যাপ্ত জংলি খরগোশ, বুনোশুয়োর রয়েছে। তাই হয়তো প্রাণীটি গেরস্তের গোয়ালে হানা দেয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement