ফাইল চিত্র।
পাঁচ দিনের মধ্যে তৃতীয় বার। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর মৃত্যুর তদন্তে রবিবারও ফের কাঁথিতে এল সিআইডি। এ বার শুরু হল জিজ্ঞাসাবাদ।
এ দিন বিকেলে কাঁথি থানায় পৌঁছন সিআইডির দুই আধিকারিক। ঘটনার সময়কার পুলিশের তদন্তকারী অফিসার ও শুভব্রত জখম হওয়ার পরে তাঁর সহকর্মী যে পুলিশকর্মী সেখানে পৌঁছেছিলেন, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন গোয়েন্দারা। কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসককেও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সকলের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।
শুভেন্দু রাজ্যের মন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন শুভব্রত। ২০১৮ সালে কাঁথিতে ‘অধিকারী বাড়ি’র অদূরে পুলিশ ব্যারাকে নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলিবিদ্ধ হন শুভব্রত। সম্প্রতি তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী স্বামীর মৃত্যুতে শুভেন্দু ও তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েক জনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার ভিত্তিতে রুজু হয়েছে খুনের মামলা। তারই তদন্তে বারবার কাঁথি আসছে সিআইডির দল।
এর আগে ঘটনাস্থলে তদন্ত করেছেন রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দারা। বাইরে থেকে অধিকারী বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জ’-র ভিডিয়োগ্রাফিও করা হয়েছে। তবে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ এ দিনই প্রথম। গুলিবিদ্ধ শুভব্রতকে প্রথমে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। যে চিকিৎসকেরা সে দিন তাঁর চিকিৎসা করেছিলেন এ দিন তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। সেই সময় কাঁথি থানার যে পুলিশ অফিসাররা ঘটনার তদন্ত করেছিলেন তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
শুভব্রতের স্ত্রী লিখিত অভিযোগে প্রশ্ন তুলেছেন, শুভেন্দুর মতো ‘গুরুত্বপূর্ণ’ মন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষী হওয়া সত্ত্বেও গুলিবিদ্ধ শুভব্রতকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে কেন দেরি হল? অ্যাম্বুল্যান্স পেতেই বা কেন সমস্যা হল? সূত্রের খবর, এ দিনের জিজ্ঞাসাবাদে এ সবেরই উত্তর পাওয়ার চেষ্টা করেছেন গোয়েন্দারা।
বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু এ দিন পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে দলের সাংগঠনিক সভায় ছিলেন। সেখানে সিআইডি-তদন্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমার পিছনে হাত ধুয়ে পড়ে আছে। আমি কিন্তু ভয় পাইনি। আর নন্দীগ্রামে একশো বার পুনর্গণনা করলেও আমিই জিতব।’’ তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র পাল্টা বলছেন, ‘‘সিআইডি ঘটনার সত্য উদ্ঘাটনে তদন্ত করছে। সত্যিটা কী তা তদন্ত শেষেই বোঝা যাবে।’’