CAA

উদ্যোগী হোন মুখ্যমন্ত্রী, নাগরিকত্ব নিয়ে দাবি শান্তনুর

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক গুজরাত, পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং ছত্তিসগঢ়ের ১৩ জেলায় অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে উদ্যোগী হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গাইঘাটা শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২১ ০৬:০০
Share:

—ফাইল চিত্র

ঠাকুরনগরে ভোটপ্রচারে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বিধানসভা ভোট মিটলে এবং করোনার টিকাকরণের কাজ শেষ হলে নয়া নাগরিকত্ব আইন মোতাবেক মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এই প্রচারের ফলও হাতেনাতে পেয়েছিল গেরুয়াশিবির। মতুয়া অধ্যুষিত বেশ কয়েকটি আসনে জয়ী হয় বিজেপি। রাজ্যে নয়া নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপ এখনও করেনি বলে অভিযোগ।

Advertisement

এই আবহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক গুজরাত, পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং ছত্তিসগঢ়ের ১৩ জেলায় অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে উদ্যোগী হয়েছে। নাগরিকত্ব পেতে তাঁদের আবেদন করার কথা বলেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে বনগাঁর প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতা ঠাকুর বলেন, ‘‘কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ ১৯৫৫ সালের আইন অনুযায়ী করা হয়েছে। যা নয়া নাগরিকত্ব কার্যকর করার একটা ধাপ। পঞ্জাবের জলন্ধর এবং হরিয়ানার ফরিদাবাদ জেলায় পূর্ব বাংলা থেকে আসা অনেক মানুষ বসবাস করেন। তাঁদের বলা হয়েছে নাগরিকত্বের জন্য স্বরাষ্ট্র দফতরে কাছে আবেদন করতে। বাকি জেলাগুলিতে জেলাশাসকের কাছে আবেদন করার কথা বলা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত থেকে বোঝা যাচ্ছে কেন্দ্র বাঙালিদের বেনাগরিক
করতে চাইছে।’’

কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে অবশ্য স্বাগত জানিয়েছেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা ‘অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘে’র সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর। তাঁর কথায়, ‘‘এই রাজ্যে কী ভাবে নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগ করা সম্ভব? মুখ্যমন্ত্রীর দিক থেকে সহযোগিতামূলক কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। আইন কার্যকর হলে গোলমাল শুরু হবে। রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি নষ্ট হবে।’’ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাংসদের আবেদন, ‘‘বিষয়টিকে রাজনৈতিক ভাবে না দেখে সহানুভূতির সঙ্গে দেখুন।’’ মমতা ঠাকুর পাল্টা বলেছেন, ‘‘কেন আমাদের আবেদন করে নাগরিকত্ব নিতে হবে? কেন্দ্র ঘোষণা করুক, আমরা সকলেই নাগরিক। মুখ্যমন্ত্রীর জন্যই আমরা, মতুয়া উদ্বাস্তুরা এখানে ভাল আছি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement