উৎসব না করে চাল বন্ধ বাগানে

উৎসব বন্ধ করে সেই টাকা চাল কেনার জন্য খরচ করছে খাদ্য দফতর। শুক্রবার মানবাধিকার কমিশন ও পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে খাদ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৬ ০৩:০৭
Share:

উৎসব বন্ধ করে সেই টাকা চাল কেনার জন্য খরচ করছে খাদ্য দফতর। শুক্রবার মানবাধিকার কমিশন ও পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে খাদ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর দাবি, রাজ্যের বন্ধ চা-বাগানের শ্রমিক এবং টোটো সম্প্রদায়ের মানুষকে খাদ্য জোগাতে ওই টাকা খরচ করা হবে।

Advertisement

আন্তর্জাতিক খাদ্য সুরক্ষা দিবস উপলক্ষে প্রতি বছর ১৬ অক্টোবর রাজ্যে উৎসব পালন করে খাদ্য দফতর। দফতর সূত্রে খবর, এ জন্য এক কোটি টাকা খরচ হয়। জ্যোতিপ্রিয়বাবু জানান, ওই উৎসব বন্ধ করা হয়েছে। টোটো সম্প্রদায়ের মানুষকে বিনা মূল্যে আর চা-বাগান শ্রমিকদের ৪৬ পয়সা কেজি দরে চাল দিতে ওই টাকা ব্যয় করা হবে।

কেন্দ্রের খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী, গ্রামীণ এলাকার ৭৫% এবং পুরসভা এলাকার ৫০% মানুষ এই প্রকল্পের আওতায় পড়বেন। কিন্তু সরকার রাজ্যের খাদ্যসাথী প্রকল্পে সব মানুষকে ২ টাকা কিলো দরে চাল দিতে চায়। প্রশাসনের এক কর্তা জানান, কেন্দ্র ৩ টাকা কেজি দরে রাজ্যগুলিকে চাল দেয়। রাজ্য প্রতি কেজিতে এক টাকা ভর্তুকি দিয়ে ২ টাকা কিলো দরে সেই চাল বিক্রি করছে রেশনের মাধ্যমে। এ জন্য বছরে ৪২০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে রাজ্যের। খাদ্যমন্ত্রীর দাবি, রাজ্যে এখন প্রায় সাড়ে সাত কোটি মানুষ ২ টাকা কিলো দরে চাল পাচ্ছেন। কিন্তু সব মানুষকে ২ টাকা কিলো দরে চাল দিতে বছরে প্রায় ৫১০০ কোটি টাকা প্রয়োজন। এত টাকার সংস্থান করতে দফতরের অন্য খরচে রাশ টানতে চান খাদ্যমন্ত্রী। তারই অঙ্গ হিসাবে উৎসব বন্ধ করে সেই টাকা চাল কেনার কাজে ব্যয় করা হবে।

Advertisement

ওই অনুষ্ঠানে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাপরাজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্যের খাদ্য সুরক্ষা নীতির সঠিক প্রয়োগের জন্য জঙ্গলমহল-সহ বিভিন্ন মাওবাদী প্রবণ এলাকায় শান্তি ফিরেছে। তা ছাড়া এখন অনাহারে থাকার কোনও অভিযোগ কমিশনে নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement