বাতিল বিমান। বাগডোগরায় অপেক্ষারত যাত্রীরা। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।
কুয়াশায় রানওয়ে ঢেকে থাকায় বাগডোগরার আকাশ থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে ফিরতে হল ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগেকে। একই কারণে শনিবার কলকাতা বিমানবন্দর থেকে তাদের মুম্বইগামী উড়ান নির্দিষ্ট সময়ে ছাড়েনি বলে জানিয়েছে স্পাইসজেট।
‘বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট’-এ যোগ দিতে কলকাতায় এসেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। শনিবার কলকাতা বিমানবন্দর থেকে একটি বেসরকারি সংস্থার উড়ানে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছে সড়কপথে মালবাজার হয়ে ভুটানে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে প্রধানমন্ত্রীর যাত্রা বাতিল হয়ে যায়।
বাগডোগরা বিমানবন্দর সূত্রে জানানো হয়েছে, এ দিন দুপুর তিনটে নাগাদ ইন্ডিগো সংস্থার উড়ানটি বাগডোগরা বিমানবন্দরের উপরে এসে দু’বার চক্কর কাটে। সেই সময়ে কুয়াশায় ঢাকা ছিল গোটা রানওয়ে চত্বর। তাই বিমানের ককপিট থেকে রানওয়ে দেখতে পাচ্ছিলেন না পাইলট। এই অবস্থায় বেশ কিছু ক্ষণ আকাশেই চক্কর কেটে বিমান কলকাতায় ফিরে আসে।
সূত্রের খবর, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী নামবেন বলে বিমানবন্দরে কড়া নিরাপত্তা ছিল। শিলিগুড়ির সিপি মনোজ বর্মা বলেন, ‘ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর যে বিমানে আসার কথা ছিল, সেটি কুয়াশার কারণে আকাশ থেকেই ফিরে গিয়েছে।’ আজ, রবিবার কলকাতা থেকে সরাসরি থিম্পুর উড়ান ধরার কথা শেরিং তোবগের।
বাগডোগরা বিমানবন্দরের অধিকর্তা রাকেশ সহায় জানিয়েছেন, গত কাল রাত থেকেই কুয়াশার ফলে বাগডোগরা বিমানবন্দরে বিমান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। আজ সেখানে ১১টি উড়ানের মধ্যে মাত্র একটি ঠিক মতো ওঠানামা করতে পেরেছে। ড্রুক এয়ারলাইন্সের ওই বিমানটি পারো থেকে বাগডোগরায় নামে। তার পরে সেটি ব্যাঙ্ককে চলে যায়।
কলকাতা থেকে দুপুরে আসা
আরও তিনটি উড়ান বাগডোগরায় নামতে পারেনি।
এ দিন কুয়াশার কারণে কলকাতা বিমানবন্দরে গিয়েও সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারলেন না স্পাইসজেটের ১২০ জন যাত্রী। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, সকাল ৭টা ৫০-এ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ছাড়ার কথা ছিল মুম্বইগামী স্পাইসজেটের একটি উড়ান। যাত্রীরা সময়ে হাজির হন। তাঁদের অভিযোগ, বোর্ডিং কার্ড হয়ে যাওয়ার পরে তাঁরা জানতে পারেন, বিমান ছাড়বে ঘণ্টাখানেক পরে।
বিমান সংস্থার দাবি, কুয়াশার জন্য বিমান ছাড়তে দেরি হয়েছে। যাত্রীদের পাল্টা দাবি তা হলে অন্য বিমান সংস্থার উড়ান ওঠানামা করল কী করে? যাত্রীদের আরও অভিযোগ, এ নিয়ে তাঁরা কথা বলতে চাইলে বিমান সংস্থার কেউ সাড়া দেননি। উল্টে সংস্থার কাউন্টারেও তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। আবার বোর্ডিং কার্ড হয়ে যাওয়ায় নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের বিমানবন্দরের বাইরেও যেতে দিচ্ছিলেন না। পরে, সিআইএসএফ কর্মীদের সহযোগিতায় অবশ্য যাত্রীরা বাইরে বেরিয়ে এয়ারপোর্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে খবর, শনিবার সকাল ৫টা নাগাদ কুয়াশার কারণে বিমান ওঠানামায় সমস্যা হয়েছিল কলকাতায়। স্পাইসজেটের ব্যাঙ্কক থেকে আসা বিমান কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করতে না পেরে গুয়াহাটি চলে যায়। ওই বিমানটিরই মুম্বইয়ে যাওয়ার কথা ছিল।
এয়ার ইন্ডিয়া-সহ চারটি সংস্থার একটি করে বিমান এবং ইন্ডিগোর পাঁচটি বিমান দেরিতে ছাড়ে।