—ফাইল চিত্র
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস তাঁদের যে-সর্বনাশ করে দিয়েছে, তার নিরিখে সরকারের বরাদ্দ ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারছিলেন না মৎস্যচাষিদের অনেকেই। বুধবার রাজ্য সরকার নতুন যে-নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে, তাতে শুধু বড় মৎস্যচাষি নন, ছোট পুকুরে মাছচাষের সঙ্গে যুক্ত চাষিরাও ক্ষতিপূরণের আওতায় আসছেন।
সরকারের সিদ্ধান্ত, প্রতি হেক্টরের হিসেবে ক্ষয়ক্ষতির নিরিখে এক জন মাছচাষি ৮২০০ টাকা ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন। জলাভূমির আয়তন তার থেকে বেশি হলেও ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওয়া যেতে পারে সর্বাধিক ১৬,৪০০ টাকা। জলাভূমির আয়তন এক হেক্টরের কম হলে আনুপাতিক হারে ক্ষতিপূরণ মিলবে। পুকুরের আয়তন খুব ছোট হলেও সর্বনিম্ন ৪০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট মাছচাষিকে। পুরোটাই নির্ভর করছে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রার উপরে।
মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, “খুব বড় ফার্ম থাকলে তাদের ততটা সমস্যা নেই। সেই সংখ্যাটাও কম। কিন্তু ছোট-মাঝারি মৎস্যচাষির সংখ্যা অনেক বেশি। ক্ষতিপূরণের অর্থ পেলে তাঁদের সুবিধা হবে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষি যাতে ক্ষতিপূরণ পান, সেই জন্যই এই সিদ্ধান্ত।”
ইয়াসের ধাক্কায় সরাসরি ক্ষতির থেকেও ভরা কটালে বিভিন্ন
জলাশয়ে নোনা জল ঢুকে যাওয়ায় মাছ চাষের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বেশি। কী ভাবে সেই সব জলাশয়কে পূর্বাবস্থায় ফেরানো যায়, তার পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই শুরু করেছে প্রশাসন। দরকারে নোনা জলে চাষযোগ্য ‘স্বর্ণ-মৎস্য’ কর্মসূচি শুরু করার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ, বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে ‘দুয়ারে ত্রাণ’ কর্মসূচি। প্রধানত দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হাওড়ার একাংশে ইয়াসের প্রভাব পড়েছে সব চেয়ে বেশি। সংশ্লিষ্ট এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক স্তরে শিবির করে ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদনপত্র গ্রহণ করবে সরকার। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তকে নিজেকেই আবেদন করতে হবে। কারও সুপারিশ গ্রাহ্য হবে না। আবেদনপত্র গ্রহণের পরে সরকারি অফিসারের দল দাবির বাস্তবতা যাচাই করবে। ক্ষতিপূরণের ন্যায্য দাবিদারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠিয়ে দেবে সরকার।