প্রতীকী ছবি।
বিনা অ্যালার্জিতে গুরুতর হাঁপানির সমস্যা থাকা দুই রোগীর সফল ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি শহরের বেসরকারি হাসপাতালে। যে সব রোগীতে হাঁপানির জন্য বার বার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। বা হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করতে হয় স্টেরয়েড। তাদের জন্য এই পদ্ধতি ফলদায়ক বলে জানান অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসক দেবরাজ যশ।
দেবরাজ বলেন,‘‘পূর্ব ভারতে এই প্রথম ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি করা হল। হলদিয়ার ৫৪ বছরের এক মহিলা এবং ৪৪ বছরের দুর্গাপুরের এক বাসিন্দার এই চিকিৎসা হয়। দুই রোগীই সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন।’’
কাদের ক্ষেত্রে ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি উপযোগী
যাঁরা নন-অ্যালার্জিক হাঁপানিতে ভুগছেন
গুরুতর অসুস্থ
মধ্য বয়স্ক
ইনহেলার ব্যবহার করেও যাঁদের হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না
বারবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়
হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে স্টেরয়েড ব্যবহার করেন
তাঁদের ক্ষেত্রে এই চিকিৎসা পদ্ধতি ফলপ্রসূ হয়।
কী ভাবে করা হয় ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি
নন-অ্যালার্জিক হাঁপানির ক্ষেত্রে শ্বাসনালীর যে স্মুদ মাসল অর্থাৎ যে মসৃণ মাংসপেশি থাকে তা ফুলে যায় এবং বড় হয়ে যায়। একে অপরের এত কাছাকাছি চলে আসে যে শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টির মাধ্যেমে ওই মাংসপেশিগুলিকে হিট ওয়েভের মাধ্যমে সংকুচিত করে দেওয়া হয়। এতে শ্বাসনালীর আরও বড় হয়ে যায়।
দেবরাজ জানান ৭০ শতাংশ রোগীর ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টির পর ইনহেলারের প্রয়োজনীয়তা কমে যায় বা শেষ হয়ে যায়। হাঁপানির জন্য বারবার হাসপাতালে দৌড়ানো বা স্টেরয়েড আর লাগে না বলেও জানান তিনি।
রোগীকে মোট তিন বার এই পদ্ধতি দ্বারা চিকিৎসা করা হয়। সময় লাগে তিন মাসে। প্রতিবার একদিন করে হাসপাতালে ভর্তি থেকে এই চিকিৎসা করাতে হয়। মোট খরচ পড়ে সাড়ে চার লক্ষ টাকারমতো।