শুভ্র: সান্দাকফুতে মরসুমের প্রথম তুষারপাত। ছবি: স্বরূপ সরকার
শুক্রবার বিকেলেই সান্দাকফুতে মরসুমের প্রথম তুষারপাত। আর শনিবার সকাল থেকে বরফে ঢাকল এলাকা। এই তুষারপাতই দার্জিলিঙে বরফ পড়ার সম্ভাবনাকে উসকে দিয়েছে। সমতলেও ছিল মেঘলা আবহাওয়া। পাশাপাশি ঝিরঝিরে বৃষ্টি ঠান্ডার রেশ বাড়িয়েছেআরও। উত্তর সিকিমের লাচুং, লাচেনেও বরফ পড়েছে। গুরুদোঙ্গমার লেকে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ। শেরথাং এবং ছাঙ্গুতে যাওয়ার রাস্তাতেও তুষারপাত হয়েছে। বরফে রাস্তা আটকে থাকায় আপাতত পর্যটকদের যাতায়াত বন্ধ।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘পশ্চিমীঝঞ্ঝার প্রভাবে সিকিম, সংলগ্ন দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে হালকা বৃষ্টি হয়েছে। বেশি উচ্চতায় অবস্থিত এলাকাগুলোয় তুষারপাত হয়েছে। তবে রবিবার থেকে পরিস্থিতি কিছুটা বদলাবে।’’ তিনি জানান, পঞ্চিমীঝঞ্ঝা পূর্বদিকে সরে অসমের দিকে যাওয়ার কথা। তাতে রাতের দিকে ঠান্ডা আরও বাড়বে সিকিম এবং লাগোয়া দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে।
আবহাওয়াবিদরা জানান, দিনে যে তাপ ভূপৃষ্ঠ গ্রহণ করে সূর্য ডোবার পর ভূপৃষ্ঠ সেই তাপ বিকিরণ করে। পশ্চিমীঝঞ্ঝা থাকলে আকাশে মেঘ থাকবে। তাতে সেই তাপ সম্পূর্ণ বার হতে পারে না। পশ্চিমীঝঞ্ঝা সরে গেলে আকাশ মেঘমুক্ত হবে। তাপ বেরিয়ে যাবে। তাতে রাতের দিকে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়বে। তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি কমে যাবে। লাগোয়া সমতলেও রাতের দিকে ঠান্ডার রেশ বাড়বে। তবে আকাশ পরিষ্কার থাকার জন্য দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। দার্জিলিঙে এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চার ডিগ্রির একটু বেশি। উত্তর সিকিমে তিন ডিগ্রির মতো।
হিমালয়ান হসপিতালিটি ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক (এইচএইচটিডিএন)-এর সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘পর্যটকেরা কোথাও আটকে নেই। বরফে ছাঙ্গু লেক, গুরুদোঙমার যাওয়ার রাস্তা বন্ধ রয়েছে। পর্যটকদের গাড়ি যেতে দেওয়া হচ্ছে না।’’ তবে বড়দিনে তুষারপাত দেখা যাবে কি না তা নিয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলতে চাননি আবাহাওয়াবিদরা। তাঁরা জানান, আবহাওয়ার পরিস্থিতির উপর নজররাখা হচ্ছে। আগামী কয়েকদিনের পরিস্থিতি দেখে তবেই তা বলা সম্ভব হবে।