নিজস্ব চিত্র
নজির আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের। এশিয়ায় প্রথম করোনা আক্রান্তের ‘‘প্যাথলজিক্যাল অটোপ্সি’’ বা চিকিৎসা বিষয়ক ময়নাতদন্ত হল এই হাসপাতালেই। একই সঙ্গে এই ঘটনায় জড়িয়ে রইলেন পশ্চিমবঙ্গে মরণোত্তর দেহ দান আন্দোলনের পথিকৃৎ ব্রজ রায়। বৃহস্পতিবার করোনা আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। সেই ব্রজর দেহই এ বার চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাজে লাগবে। ব্রজর সঙ্গী ও পরিবারের লোকেদের আশঙ্কা ছিল, যে মানুষটা সারাজীবন দেহদান আন্দোলনের হয়ে কথা বললেন, করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তাঁর দেহই আর চিকিৎসার বিজ্ঞানের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। চিকিৎসক ও প্রশাসনের উদ্যোগে সেই আশঙ্কার মেঘ কেটে গেল। করোনা আক্রান্তের শরীরের ময়নাতদন্ত এশিয়াতেও এই প্রথম।
শুক্রবার দুপুর ২টো থেকে ৩টে নাগাদ এই ময়নাতদন্ত হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পরবর্তীকালে এই ময়নাতদন্ত ও পরীক্ষার ফল কাজে লাগবে কোভিড চিকিৎসার গবেষণায়। এই প্রক্রিয়াকে চিকিৎসার পরিভাষায় বলা হয় প্যাথোলজিক্যাল অটোপ্সি। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণ করতেই এই ময়নাতদন্ত করা হয়। এ ক্ষেত্রে দেখা হয়েছে, করোনায় প্রয়াত ব্রজ রায়ের কোন কোন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, কতটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কোষে কী কী পরিবর্তন হয়েছি, কতটা প্রভাব পড়েছে শরীরে। চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা আক্রান্তের শরীরে ভাইরাসের প্রভাব কতটা পড়ছে, কতটা ক্ষতি করছে ভাইরাস, তা এই ধরনের ময়নাতদন্তের পর জানা যায়। সেই বিস্তারিত বিষয় জানতে এক ঘণ্টার ময়নাতদন্তের পর কোষ সংগ্রহ করেছেন চিকিৎসকরা।