ফিরহাদ (ববি) হাকিম। নিজস্ব চিত্র।
স্বাধীনতা দিবসের নানা অনুষ্ঠানের অবসরে ঘুরে-ফিরে এল রাজ্যে দুর্নীতি ও সেই সংক্রান্ত তদন্তের চর্চা। মুখ খুললেন সব দলের নেতারাই।
শহরে সোমবার একটি অনুষ্ঠানের ফাঁকে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ (ববি) হাকিম ভুয়ো মামলায় হেনস্থার অভিযোগ করে সিপিএম এবং বিজেপিকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘ভুয়ো মামলা দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে। মামলা করছে সিপিএম। আর লুফে নিচ্ছে বিজেপি। জীবনে কখনও অনৈতিক কাজ করিনি, করবও না। যদি প্রমাণ হয় আমি কোনও ভাবে অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত, তা হলে ইডি-সিবিআই নয়, নিজেকে মৃত্যুদণ্ড দেব!’’ আগে এমন কথা একাধিক বার শোনা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও। ফিরহাদের এ দিন আরও সংযোজন, ‘‘আমাদের সবাইকে অপমান করা হচ্ছে। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে।’’
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আবার দাবি করেছেন, ‘‘অপমান মুখ্যমন্ত্রীই করছেন! প্রধানমন্ত্রীকে তুই বলে সম্বোধন করেছেন। আমার নামেও যা খুশি বলেছেন। সব সুদে-আসলে ফেরত দেওয়া হবে!’’
একটি অনুষ্ঠানে এ দিন প্রশ্নের জবাবে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুর বক্তব্য, ‘‘এত ভয়ের কী আছে? খোদ মুখ্যমন্ত্রী এত আশঙ্কিত কেন? তাঁর বাড়িতে যদি যায়, এই কথা বলতে হচ্ছে কেন! কিছু গোলমাল না থাকলে তো ভয়ের কিছু নেই। আমি জানি না, তেমন কিছু আছে কি না!’’ অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ লোকজন কী ভাবে বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়ে বসেছেন, সে কথাও উল্লেখ করেছেন বর্ষীয়ান নেতা।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর মতে, ‘‘বাংলায় একটা কথা আছে, চোরের সাক্ষী গাঁটকাটা! তৃণমূলের হয়েছে সেই অবস্থা। চুরি করে কেউ কেউ ধরা পড়ছে, আর এক দল পাশে দাঁড়াচ্ছে। তৃণমূলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা অনুব্রত মণ্ডল ( কেষ্ট) কেউই একা অন্যায় করেননি। পুরোটা একটা চক্র। নেত্রীর অঙ্গুলি হেলন ছাড়া কিছু হয়নি। তিনি নিজে জানেন, তাই পাশে দাঁড়াচ্ছেন। একা কেষ্টয় রক্ষা নেই, মুখ্যমন্ত্রী বলছেন বাংলায় লক্ষ লক্ষ কেষ্ট ছাড়া হবে!’’