অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল ছবি।
দলে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ সংক্রান্ত যে সমস্ত পোস্ট নেটমাধ্যমে করা হচ্ছে, তাতে সমর্থন নেই তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুক্রবার এমনটাই জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ইতিমধ্যে দলের যাঁরা ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ সংক্রান্ত পোস্ট করেছেন নেটমাধ্যমে, তাঁদের তা দ্রুত মুছে ফেলার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। দলনেত্রীর অনুমতিক্রমেই তিনি যে এ কথা বলছেন, তা-ও স্পষ্ট করে জানিয়েছেন ফিরহাদ।
দলে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি নিয়ে প্রকাশ্যেই সরব হতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁকে সমর্থন করে নেটমাধ্যমে পোস্ট করেছেন তৃণমূলের নতুন প্রজন্মের অনেকেই। সেই তালিকায় উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে রয়েছেন সম্পর্কে অভিষেকের বোন এবং ভাই অদিতি গায়েন আর আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়। দলে ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতির ঘোষিত সমর্থক অভিষেকের পাশেই দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। কিন্তু খোদ মমতা তা সমর্থন করেন না বলে শুক্রবার ঘোষণা করেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘‘নেতাদের ফেসবুক পোস্ট বিভ্রান্তিকর। দল তা অনুমোদন করে না। অবিলম্বে ওই সব পোস্ট সরাতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ রকম পোস্ট করা অন্যায়। সভানেত্রী নতুন ভাবে নীতি নির্ধারণ করবেন। দলের যাবতীয় নীতি তিনিই ঠিক করবেন।’’
ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের সঙ্গে মমতার সম্পর্কে সম্প্রতি ফাটল দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে, তাতে আইপ্যাক সংক্রান্ত জটিলতা এবং তার ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতির জেরে তৃণমূলের সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে সরিয়ে নিতে পারেন, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। অভিষেকের ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি গোয়ায় বিধানসভা ভোটের পর অভিষেক ওই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন। তবে পরিস্থিতি বদলালেও বদলাতে পারে। কারণ, ঘটনা প্রতি মুহূর্তে বাঁক নিচ্ছে। সেই আবহে ববিকে দিয়ে এই ঘোষণা করিয়ে কি পরোক্ষে অভিষেককেই বার্তা দিতে চাইলেন মমতা?