ফিরহাদ হাকিম ও জগদীশ চন্দ্র বর্মা বাসুনিয়া। নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন জমা দিলে বিজেপি-র ঠ্যাং ভেঙে দেবেন তিনি। এমনটাই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কোচবিহারের সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বাসুনিয়া। তাঁর ওই মন্তব্যের সমালোচনা করলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বিরোধী রাজনৈতিক দলকে হুমকি দেওয়া যে তাঁর দলের সংস্কৃতি নয়, তা-ও উল্লেখ করলেন।
ফিরহাদ বলেন, ‘‘কেউ যদি এমন কথা বলে থাকেন, তিনি অন্যায় করেছেন। গণতন্ত্র কখনওই কাউকে মারা বা হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অধিকার দেয়নি। গণতন্ত্রে সবার উপরে মানুষ সত্য, তার উপরে নেই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যে বিধায়ক এমন কথা বলেছেন, তাঁকে আমি বলব, পার্টির লাইন মেনে চলুন। বিধায়ককে বুঝতে হবে, মারামারি করে কিছুই হবে না। কারণ আমরা যাঁরা বিধায়ক হয়েছি, তাঁদের কাছে বিধানসভা গণতন্ত্রের মন্দির। সেটা সব বিধায়ককেই মনে রাখতে হবে।’’
শুক্রবার নিজের বিধানসভা সিতাইয়ে দলীয় এক কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিজেপি-কে হুঁশিয়ারি দিয়ে জগদীশ বলেন, ‘‘যার যার মনে আশা আছে ২০২৩-এ পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি-র হয়ে মনোনয়ন জমা দেবেন, দম থাকলে বিডিও অফিসে গিয়ে মনোনয়ন জমা দেবেন। বিধানসভা ভোটে বিএসএফ-মিলিটারির ভয় দেখিয়েছিলেন। পঞ্চায়েত ভোটে কোন মিলিটারি, বিএসএফ আসবে? তখন আমার মিলিটারি, আমার তৃণমূলের বিএসএফ থাকবে। তখন যদি কোনও বিজেপি নেতা মনোনয়ন জমা দিতে চায়, তা হলে তার ঠ্যাং ভেঙে দেওয়া হবে। তৃণমূল লড়াই করতে জানে।’’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘‘এ বার ভোটের সময় বলে গিয়েছি সকলকে, কেউ ঝগড়া করবেন না। সিতাইয়ের মানুষ আমাদের ভোট দেয় কি না আমরা দেখতে চাই। যদি আগে থেকে আমরা শুরু করতাম, তা হলে বিজেপি-র ক্ষমতা ছিল না মাথাচাড়া দেয়। কিন্তু আমরা করিনি।’’ বিধায়কের মন্তব্যে যে দলের অনুমোদন নেই তা প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন ফিরহাদ।