আনিস খানের বাড়িতে না ঢুকতে পারার কারণ হিসেবে আব্বাস সিদ্দিকির অনুগামীদের দায়ি করলেন ফিরহাদ হাকিম। ফাইল চিত্র।
আনিস খানের বাড়িতে উদ্দেশে গিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে তাঁকে। এ বার তাঁর ফিরে আসার কারণ হিসেবে আব্বাস সিদ্দিকির অনুগামীদের দায়ী করলেন ফিরহাদ হাকিম। শুক্রবার আনিসের গ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়া হল ফিরহাদ-সহ পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায়কে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরেই হাওড়ার নিহত ছাত্রনেতার বাড়িতে ঢুকতে পারেননি রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র। শনিবার সেই সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। ফিরহাদ বলেন,, ‘‘আব্বাস সিদ্দিকির মিটিং থেকে দু’চারটে চ্যাংড়া ছেলে ফিরছিল। তারাই ওখানে হই হই করছিল। আমি মাঝে মাঝে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল দেখি। দেখি, অনেক সময় জঙ্গলে বাঘ ঘুরে বেড়াচ্ছে। তার পাশে কুকুর বা হায়নার দল তাকে দেখে চিৎকার করছে। তার মানে এই নয় যে, বাঘ ভয় পেয়ে গয়েছে। বাঘ তাদের কিছু বলছে না মানে, তাদের ইগনোর করছে। আমিও ওদের ইগনোর করছি।’’
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালেই আনিসের বাড়ি গিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। অধীরের ডাকা মিছিলে পা-ও মিলিয়েছেন আনিসের বাবা সালেম খান। বিকেলের দিকে আনিসের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল ফিরহাদ ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায়ের। সেই মতোই আনিসের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন দুই মন্ত্রী। গ্রামে ঢোকার মুখেই গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। ফিরহাদের কনভয়ের সামনে এসে দাঁড়ান এলাকাবাসীরা। তৃণমূল বিরোধী স্লোগান দিতেও শোনা যায় তাঁদের। এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘‘আনিসের মৃত্যুর পর ৪২ দিন কেটে গিয়েছে। এত দিন পর মনে পড়ল? আমরা তো ডাকিনি, কেন এসেছেন?’’ এমন বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফিরে আসেন ফিরহাদ।
আনিস খানের বাবা দাবি করেছেন, চাকরি ও টাকার বিনিময়ে আমাকে কিনতে এসেছিলেন শাসকদলের প্রভাবশালী নেতা ফিরহাদ। এমন দাবির উত্তরে ফিরহাদ বলেছেন, ‘‘কেউ কিছু কিনতে যায়নি। আর আইনে এ ভাবে কিছু কেনা যায় না। আইনত যাদের দোষ প্রমাণিত হবে, তাদের শাস্তি হবে। আইন দেখে, কে অন্যায় করেছে আর কে করেনি। আদালতে কে চাকরি দিল আর কে টাকা দিল, তার বিচার হয় না। এ সব গল্পকথা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা কাউকে টাকা বা চাকরি দিতে যাইনি। কেউ দুর্ঘটনায় মারা গেলে সরকার থেকে মানবিকতার খাতিরে তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। সরকার যে বহু ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেয়, তা অনেকেই জানে। অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সরকারি চাকরি দেওয়া হয়। তা-ও আবার মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত নিয়ে।’’