শ্রীনু নায়ডু হত্যা মামলায় ধৃত সুপারি কিলার রাজু সিংহ ওরফে বাপিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। সঙ্গে কিছু গুলিও মিলেছে। পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষে বৃহস্পতিবার রাজুকে মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হয়। রাজুকে আর হেফাজতে চায়নি পুলিশ। এ দিন তার জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়। এই মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী সমরকুমার নায়েক বলেন, “ওই অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। কিছু গুলিও মিলেছে। এ দিন আদালতে তা জানানোও হয়েছে।”
গত ১১ জানুয়ারি খড়্গপুরের নিউ সেটলমেন্ট এলাকায় তৃণমূলের ওয়ার্ড কমিটির কার্যালয়ে আততায়ীদের গুলিতে খুন হয় শ্রীনু। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একমাত্র রাজুই পুলিশ হেফাজতে ছিল। ধৃতদের বাকিরা জেল হেফাজতে রয়েছে। জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে বাকি ১১জনকেও এ দিন মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হয়। অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন জানান। বিশেষ সরকারি আইনজীবী জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। ধৃতদের ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়। দিন কয়েক আগেই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মহেশতলা থেকে রাজুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাজু ওই এলাকারই বাসিন্দা। পুলিশের এক সূত্রের দাবি, রাজু সুপারি কিলার। খড়্গপুরের দুষ্কৃতীরা রাজুকে ভাড়া করে এনেছিল। পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন রাজুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা গিয়েছে বলে খবর। শ্রীনু খুনে এখনও বেশ কয়েকজন পলাতক। পলাতকদের খোঁজে খড়্গপুরের পাশাপাশি ভিন্ রাজ্যেও তল্লাশি চলছে বলে এক সূত্রে খবর। ইতিমধ্যে এই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে রামবাবু ও তার এক শাগরেদের বিরুদ্ধে। এই দু’জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চেয়ে মেদিনীপুর সিজেএম আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল পুলিশ। শুনানিও হয়। শুনানি শেষে ওই দু’জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। পরোয়ানা কার্যকর হল কি না তা আগামী ৭ মার্চের মধ্যে জানিয়ে দিতে হবে আদালতকে।