দ্বিতীয় হুগলী সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডের নীচে আগুন নিজস্ব চিত্র।
নবান্ন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে দ্বিতীয় হুগলী সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডের নীচে আগুন। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এলাকা ঢেকে যায় কালো ধোঁয়ায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল। দমকলের ছটি ইঞ্জিন প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, পূর্ত দফতরের পিছনে ব্রিজের নীচে প্রচুর পরিমাণে প্রতিমার কাঠামো ও খড় জড়ো করা ছিল। সেখানেই হঠাৎ আগুন লেগে যায়। তবে কী ভাবে আগুন লাগলো তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সন্ধে ছ’টা নাগাদ আগুন লাগে। খুব দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পূর্ত দফতরের এক কর্মী জানিয়েছেন, তাঁরা অফিস বন্ধ করে যাওয়ার পরই তাঁর কাছে ফোন আসে। তাঁকে জানানো হয়, অফিসের পাশে আগুন লেগেছে। তিনি ছুটে আসার পর দেখেন অফিসের ঠিক পেছনে ব্রিজের নীচে আগুন জ্বলছে। ওই জায়গায় ইলেকট্রিক কেবল ছিল। আগুনের তাপে সেই কেবল প্রচণ্ড শব্দে ফাটতে থাকে।
তবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পূর্ত দফতরের কার্যালয়ের কোনও ক্ষতি হয়নি। দমকলের এক আধিকারিক জানান, নবান্ন সিকিউরিটি কন্ট্রোল থেকে তাদের কাছে ফোন আসে। সঙ্গে সঙ্গে দমকল কর্মীরা এসে এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
শুক্রবার দুপুরেই কলকাতায় আরও একটি অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তপসিয়া মজদুর পাড়ায় আগ্নিকাণ্ডে আতঙ্ক ছড়ায় গোটা এলাকায়। দমকল সূত্রের খবর, বেলা ১টা ১০ নাগাদ তপসিয়ার বস্তিতে আগুন লাগার খবর দেওয়া হয়। প্রথমে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন পাঠানো হয় ঘটনাস্থলে। পরে আরও দুটি ইঞ্জিন পাঠানো হয়। সাতটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তপসিয়া ২৪ নম্বর বাস স্ট্যান্ডের কাছে মজদুর পাড়ায় বস্তিতে একটি বাড়িতে প্রথম আগুন লাগে। পরে সেটি ১০টিরও বেশি ঝুপড়িতে ছড়িয়ে পরে বলে খবর। দুপুর বেলা রান্না করতে গিয়েই আগুন লেগেছে বলে মনে করছেন স্থানীয়দের অনেকে। আগুনের জেরে কালো ধোঁয়ায় ভরে যায় আকাশ। বেশ কয়েকটি ঝুপড়ি একেবারে পুড়ে গিয়েছে। দমকলের পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে বিপর্যয় মোকাবিলা দলও।