নবান্ন। ফাইল চিত্র।
বেসরকারি টেলিফোন সংস্থার বসানো প্যানেলের যান্ত্রিক গোলযোগ থেকেই যে নবান্নে আগুন-আতঙ্ক ছড়িয়েছিল, সেই বিষয়ে রাজ্য সরকার মোটামুটি নিঃসন্দেহ। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সম্প্রতি এ ব্যাপারে রিপোর্ট জমা পড়েছে প্রশাসনের শীর্ষ মহলে।
১২ অক্টোবর, মহাসপ্তমীর সকালে নবান্নের ছাদে টেলিফোনের প্যানেল বক্সে আগুনের ফুলকি ও ধোঁয়া বেরোতে থাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। নবান্নে কর্মরত পুলিশ, পূর্ত দফতর এবং দমকলের কর্মীরা কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাধ্যমে তখনকার মতো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও রাজ্যের মূল প্রশাসনিক ভবনে এই ঘটনা প্রশাসনিক কর্তাদের মধ্যে বেশ আলোড়ন ফেলেছে। যাবতীয় সুরক্ষা অডিটের পাশাপাশি ফোন সংস্থার প্যানেল বক্সের রক্ষণাবক্ষণে কোনও ত্রুটি ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখে পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ার-ইন-চিফকে সেই রিপোর্ট দিতে বলা হয়। নবান্ন সূত্রের খবর, প্রথামাফিক থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিরুদ্ধে।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, রিপোর্টে স্পষ্ট, টেলিফোন সংস্থার প্যানেল বক্সে তাপ নিরোধক পাখায় যান্ত্রিক গোলমালের কারণে বিপত্তি ঘটেছে। পাখা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্যানেল বক্সে তৈরি তাপ বেরোতে পারেনি। ফলে তাপমাত্রা মাত্রা ছাড়ানোয় সেখান থেকেই ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। দফতরের বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানান, সময়মতো ঘটনাটি চোখে না-পড়লে অথবা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে সঙ্কেত পাওয়া না-গেলে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল। এক কর্তা বলেন, “নবান্নে যেমন স্বয়ংক্রিয় সঙ্কেত ব্যবস্থা রয়েছে, তেমনই আছে টেলিফোন সংস্থার কাছেও। তারাও ওই ত্রুটির কথা লিখিত ভাবে স্বীকার করেছে।”
প্রশাসনিক সূত্র জানাচ্ছে, ওই ঘটনার পরে বেসরকারি দু’টি ফোন সংস্থার প্যানেল বক্স ছাদ থেকে একেবারে নীচে ভবনের চত্বরে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানেই পাকাপাকি ভাবে সেই পরিকাঠামো রাখা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞেরা। নবান্নের অন্যান্য তলাতেও প্রতি মাসে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হয়। সেই কাজও অব্যাহত থাকছে।