ফাইল চিত্র।
আগুনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে দ্রুত চারটি ফায়ার রোবট কিনতে চলেছে দমকল দফতর। দূর থেকে নয়, খুব কাছ থেকে আগুন নেভাতে পারবে ওই সব ফায়ার রোবট।
দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু সোমবার বলেন, ‘‘ফায়ার রোবট কেনার আর্থিক অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। টেন্ডারও হয়ে গিয়েছে। করোনা পরিস্থিতি কেটে গেলেই ওই রোবট শহরে চলে আসবে।’’
দমকলকর্মীরা জানান, অনেক ক্ষেত্রেই আগুনের উৎসস্থলে পৌঁছতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। ফলে দূর থেকে আগুন নেভানোর কাজ করতে হয়। বিশেষ করে কলকাতা শহরে বহু ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন লাগার পরেও উৎসস্থলে পৌঁছতে হিমশিম খান দমকলকর্মীরা। দূর থেকেই আগুন নেভানোর কাজ করতে বাধ্য হন তাঁরা। দমকল বিভাগের দাবি, ওই ফায়ার রোবট অনায়াসে পৌঁছে যাবে আগুনের উৎসস্থলে।
দু’বছর আগে বাগড়ি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের সময়ে আগুন নেভাতে গিয়ে প্রথমে উৎসস্থল খুঁজতে বেকাদায় পড়তে হয় দমকলকর্মীদের। তার জেরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বেড়ে যায়। বহু ক্ষেত্রে কোনও বহুতলে আগুন লাগলেও একই সমস্যা দেখা দেয়। দমকলের আধিকারিকেরা জানান, ফায়ার রোবট জলের হোসপাইপ সঙ্গে করে পৌঁছে যাবে একেবারে উৎসস্থলের একশো ফুটের মধ্যে।
দমকলমন্ত্রী জানিয়েছেন, ওই ফায়ার রোবট নিয়ন্ত্রণ করবেন দমকলকর্মীরাই। তাঁদের কাছে থাকবে একটি রিমোট কন্ট্রোল। রোবটটি নিয়ে প্রথমে দমকলকর্মীরা আগুনের উৎসের যতটা সম্ভব কাছাকাছি পৌঁছে যাবেন। তার পরে ফায়ার রোবটটিকে আগুনের উৎসের দিকে পাঠিয়ে দমকলকর্মীরাই সেটিকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করবেন। ফায়ার রোবটে থাকা ক্যামেরায় ওঠা ছবি দেখে আগুন কতটা ছড়িয়ে পড়ছে, তা আন্দাজ করতে পারবেন দমকলকর্মীরা।
অতীতে ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন নেভানোর কাজ করতে দমকল দফতর ছোট গাড়ি, মোটরবাইক কিনেছে। সেগুলি কোনও কোনও ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন নেভাতে কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে বলে দমকলের দাবি। কিন্তু ফায়ার রোবট একেবারে আগুনের উৎসে পৌঁছে কাজ করায় বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে বলেই মনে করছে দমকল দফতর।