নির্বাচনী প্রচারে মিঠুন প্ররোচনামূলক বক্তব্য রেখেছেন বলে অভিযোগ তোলে তৃণমূল।
বিজেপি-র অভিনেতা-নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল কলকাতা পুলিশ। নির্বাচনী প্রচারে মিঠুন প্ররোচনামূলক বক্তব্য রেখেছেন বলে আগেই অভিযোগ তোলে তৃণমূল। ৬ মে মানিকতলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। কিন্তু তার প্রেক্ষিতে থানা কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় আদালতে যায় তৃণমূল। রিপোর্ট তলব করে আদালত। এর পরেই এফআইআর দায়ের হয়েছে। সোমবার তৃণমূলের পক্ষের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ এ, ৫০৪, ৫০৩ ও ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ৫০৫ ধারা জামিন অযোগ্য। জানা গিয়েছে, মিঠুনকে তলবও করতে পারে পুলিশ।
৯ মার্চ ব্রিগেডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় বিজেপি-তে যোগ দেন মিঠুন। সেই দিনই বক্তৃতার মধ্যে তিনি নিজের অভিনীত ছবির একটি জনপ্রিয় সংলাপ উল্লেখ করে বলেন, ‘‘আমি জলঢোঁড়াও নই, বেলেবোড়াও নেই, আমি জাত গোখরো, এক ছোবলেই ছবি।’’ এর পরে তাঁর প্রতিটি সভাতেই ওই সংলাপ শোনা যায়। সঙ্গে ‘মারবো এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে’ সংলাপও শোনা যায় মিঠুনের গলায়। বিজেপি সমর্থকদের হাততালিও পান প্রচুর। কিন্তু ফল ঘোষণার পরে সেই সংলাপ শোনানোর জন্য মানিকতলা থানায় লিখিত অভিযোগ করে তৃণমূল প্রভাবিত সংগঠন সিটিজেনস ফোরাম। বলা হয়, মিঠুন ভোটের প্রচারে যে সব কথা বলেছেন, তাতে হিংসা ছড়ানোর উস্কানি ছিল। বিজেপি যেখানে যেখানে জিতেছে সেখানে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলার জন্যও ওই সংলাপ দায়ী বলে অভিযোগ তোলা হয়।
অভিযোগ জানানোর পরেও মিঠুনের বিরুদ্ধে মানিকতলা থানা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি অভিযোগে শিয়ালদহ আদালতে যান মৃত্যুঞ্জয় পাল নামে এক ব্যক্তি। এর পরে আদালত মানিকতলা থানার কাছে রিপোর্ট তলব করে। একই সঙ্গে আদালত জানায়, ১ জুন হবে পরবর্তী শুনানি। তার আগেই পুলিশ মিঠুনের বিরুদ্ধে এফআইআর করে।