পাবজি খেলা থেকে প্রেমের সম্পর্ক। প্রতীকী ছবি
আলাপ পাবজি খেলতে গিয়ে। সেখান থেকে প্রেম এবং পরে শারীরিক সম্পর্কে উত্তরণ। এ বার সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন যুবক। তাঁকে ফাঁসানো হতে পারে ভবিষ্যতে, এই আশঙ্কার কথা শুনে যুবককে আগাম জামিনও দিয়েছে উচ্চ আদালত।হাই কোর্টে আবেদন জানানো বয়স বত্রিশের ওই যুবকের নাম রাম শর্মা (নাম-পদবি পরিবর্তিত)। বাড়ি ওড়িশার জলেশ্বরে। বেঙ্গালুরুতে একটি সফ্টঅয়্যার সংস্থায় কাজ করেন তিনি। আদালতে করা আবেদনে রাম জানান, মোবাইলে পাবজি খেলতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে এ রাজ্যের বাসিন্দা প্রিয়া সাহা (নাম পরিবর্তিত)-র সঙ্গে পরিচয় হয়। প্রিয়ার বয়সও ৩২। ২০২০ সালে অতিমারি পরিস্থিতির কারণে দেশে লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পরেই জলেশ্বরে নিজের বাড়িতে এসেছিলেন রাম। এর পর প্রথম বার প্রিয়ার সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
আদালতকে রাম জানান, প্রথম সাক্ষাতের পর থেকে প্রিয়ার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। তৈরি হয় প্রেমের সম্পর্ক। ধীরে ধীরে তা গড়ায় শারীরিক সম্পর্কে। কিন্তু কয়েক দিন আগে রাম জানতে পারেন, প্রিয়া বিবাহিতা। তাঁর সাত বছরের সন্তানও রয়েছে। প্রিয়ার পরকীয়া সম্পর্কের কথা জানেন তাঁর স্বামীও।
প্রিয়ার বিবাহিত জীবন সম্পর্কে জানার পর থেকেই প্রণয়ের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চান রাম। যুবকের অভিযোগ, এর পর থেকেই রামের বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি দিতে শুরু করেছেন প্রিয়ার স্বামী। রাম আশঙ্কা করছেন, ভবিষ্যতে তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের হতে পারে। প্ররোচনা, চক্রান্ত থেকে বাঁচতেই আগাম জামিনের আবেদন জানান তিনি। তাঁর আইনজীবী নভোনীল দে বলেন, ‘‘আমার মক্কেলের কাছ থেকে অনেক টাকা হাতিয়েছেন ওই মহিলা। আগামী দিনে রাম কোনও চক্রান্তের শিকার যাতে না হন, সেই কারণেই হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করা হল।’’
রামের এই আবেদনের ভিত্তিতে বুধবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি বিভাসরঞ্জন দে-র ডিভিশন বেঞ্চ আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে।
(হাই কোর্টে করা একটি পিটিশনের ভিত্তিতে এই খবরটি প্রথম প্রকাশ করা হয়। পরে আমাদের জানানো হয় যে, এই মর্মে একটি ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করি।)