ছবি এএফপি।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে রেশন দোকানে গ্রাহকদের প্রতি মাসের ভিড় এড়ানোর নিদান দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই কারণে দু’মাসের রেশন অগ্রিম দিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রক। তার পরেও কেন্দ্রীয় সরকারি গুদামগুলি থেকে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা মিশন এবং প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার চাল-গম রাজ্য সরকার দ্রুত গতিতে তুলছে না বলে অভিযোগ করেছে দিল্লি।
রাজ্যের খাদ্যসচিব পারভেজ সিদ্দিকীকে লেখা এক চিঠিতে ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার জেনারেল ম্যানেজার (সেলস) পি কে শতপথী রাজ্যকে জানিয়েছেন, গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার খাদ্য জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দেওয়া হবে। এ জন্য প্রতি মাসে গ্রাহকদের রেশন দোকানে আসতে হচ্ছে। গত অগস্টেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, রেশন দোকানে ভিড় হলে সংক্রমণ বাড়বে। তাই অন্তত দু’মাসের খাদ্য সামগ্রী একসঙ্গে দিয়ে দেওয়া হোক। রাজ্য পাঁচ মাসের জন্য ৬.০২ লক্ষ মেট্রিক টন চাল এবং ৯.০৩ লক্ষ মেট্রিক টন গম কেন্দ্রের থেকে পেতে পারে। এখনও পর্যন্ত রাজ্য ৩.৭৩ লক্ষ মেট্রিক টন চাল এবং ৫.৭৯ লক্ষ মেট্রিক টন গম এফসিআইয়ের গুদাম থেকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। এখনও ২.২৯ লক্ষ মেট্রিক টন চাল এবং ৩.২৪ লক্ষ মেট্রিক টন গম রাজ্যের জন্য দিল্লির বরাদ্দ করা রয়েছে। কিন্তু রাজ্য দ্রুত গতিতে সেই চাল-গম তুলতে চাইছে না।
এফসিআইয়ের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গেই এখন ০.৪৯৭ লক্ষ মেট্রিক টন চাল এবং ৫.৩৮ লক্ষ মেট্রিক গম মজুত রাখা আছে। লকডাউন, অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে এবং আসন্ন দুর্গাপুজো উপলক্ষে জেলায় জেলায় চাল-গম পৌঁছতে সমস্যা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনাটি শেষ হতে ৬০ দিনও নেই। ফলে রাজ্যকে এর মধ্যেই কোটার সমস্ত চাল-গম তুলে নিতে হবে। নইলে রেশন গ্রাহকদের সময় মতো দু’মাসের অগ্রিম খাদ্যশস্য দেওয়া সম্ভব হবে না।
খাদ্য দফতরের এক কর্তা অবশ্য জানাচ্ছেন, রাজ্য পরিকল্পনা অনুযায়ীই কাজ করছে। এফসিআইয়ের পাশাপাশি রাজ্যের চালকল থেকেও ধান-চাল সংগ্রহ করা হয়। গুণগত মান বিচার করে এবং রাজ্যের গুদামের খাদ্য মজুত করার পরিস্থিতি যাচাই করে কেন্দ্রের চাল-গম নেওয়া হচ্ছে।