কৃষ্ণক মজদুর মহাপঞ্চায়েত। কলকাতা রামলীলা ময়দানে
রাজ্যে এসে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করারই ডাক দিলেন কিষাণ মোর্চার নেতারা। তাঁদের আবেদন, কেন্দ্রে জন-বিরোধী ও ফ্যাসিবাদী সরকার চালাচ্ছে যে বিজেপি, তাদের যেন মানুষ ভোট না দেন। বিজেপি ছাড়া পরিস্থিতি বিচারে অন্য যে কোনও দলকে সমর্থন করার আবেদন জানিয়েছেন কৃষক নেতারা।
কেন্দ্রীয় কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লিতে টানা ১০০ দিনেরও বেশি অবস্থান চালাচ্ছেন কৃষকেরা। সেই আন্দোলনে থাকা কিষাণ মোর্চার নেতারাই বিধানসভা ভোটের আগে পাঁচ রাজ্যে ঘুরে ঘুরে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কলকাতায় এসে শুক্রবার যোগেন্দ্র যাদব, হান্নান মোল্লা, বলবীর সিংহ রাজেওয়ালেরা সেই কাজই করেছেন। সঙ্গে ছিলেন মেধা পাটকরও। তবে দিল্লির নেতাদের পাশে রাজ্যের সিপিএম-সহ বামফ্রন্টের কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের দেখা যায়নি। কলকাতা প্রেস ক্লাবে যোগেন্দ্র, মেধারা এ দিন বলেছেন, ‘‘কৃষিকে কর্পোরেটের হাতে তুলে দিচ্ছে বিজেপির সরকার। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বেচে দিচ্ছে। আন্দোলনকারীদের উপরে ফ্যাসিবাদী আক্রমণ চলছে। এই বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি আমরা।’’ বিজেপিকে না দিয়ে তাঁরা কাকে ভোট দিতে বলছেন? যোগেন্দ্র, মেধাদের জবাব, ‘‘বিজেপি বাদ দিয়ে পরিস্থিতির বিচারে মানুষের যাকে পছন্দ, তাকেই ভোট দেবেন। চাইলে রাজ্যের শাসক দলকে ভোট দিতে পারেন। না চাইলে অন্য দলকেও সমর্থন করতে পারেন। সেই বিষয়ে আমরা কিছু বলছি না।’’
এন্টালির রামলীলা ময়দানে ‘কিষাণ ও মজুর মহাপঞ্চায়েতে’ও কৃষক নেতৃত্ব বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তবে সেখানে তেমন ভিড় হয়নি। এর পরে নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুরে গিয়েও প্রচার করার কথা যোগেন্দ্রদের। বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার আবেদন নিয়ে সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের মতো জায়গায় গিয়ে তাঁরা কি পরোক্ষে হলেও তৃণমূলের পক্ষে বার্তা দিচ্ছেন? সফর-সূচি কিষাণ মোর্চার স্থানীয় নেতৃত্ব ঠিক করেছেন বলে সরাসরি জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন যোগেন্দ্র, বলবীরেরা। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য অবশ্য কটাক্ষ করেছেন, ‘‘ওঁরা সব জায়গায় গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধেই প্রচার করেন। এখানেও এসেছেন, ভাল! অসুবিধা নেই। বাংলার মানুষ বিজেপির সরকার গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছেন।’’