—প্রতীকী চিত্র।
সাত মাস ধরে নিখোঁজ রায়নার নাবালিকা। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এই মামলায় প্রথমে স্থানীয় পুলিশের উদাসীন মনোভাবের জন্য সিআইডিকে তদন্তভার দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। কিন্তু সিআইডির তদন্তেও আদালত সন্তুষ্ট হয়নি। তার পরেই এ দিন কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তদন্তভার দেওয়া হয়। আগামী ১৩ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সেই দিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৯ অগস্ট নিখোঁজ হয় ওই কিশোরী। রায়নার এক স্কুলের ছাত্রী ছিল সে। ১৭ অগস্ট রায়না থানায় অপহরণের মামলা হয়। অপহরণকারীদের মধ্যে পুলিশ দু’জনের খোঁজ পায়। দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়। বর্তমানে জামিনে রয়েছেন তারা। নিখোঁজ কিশোরীকে উদ্ধারের দাবিতে ভারত জাকাতা মাঝি পারগানা একাধিক বার আন্দোলন, কর্মসূচি করে। কিন্তু খোঁজ মেলেনি। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বছর চোদ্দর ওই ছাত্রী টিউশনে যাব বলে বাড়ি থেকে বার হয়েছিল। পরে তার মা থানায় অভিযোগ করেন। সিআইডি তদন্তের সময় কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু লাভ হয়নি। এ দিন মেয়েটির মা বলেন, ‘‘সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। তারা গোটা দেশ জুড়ে আমার মেয়েকে খুঁজবে। এ বার ঠিক খুঁজে পাব।’’
আদালতের খবর, এই মামলায় শাসক দলের এক বিধায়ক-সহ প্রভাবশালীরা যুক্ত বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় পুলিশ ঘটনার তদন্তে গড়িমসি করেছিল বলে অভিযোগ। প্রথমে দু’জনকে পাকড়াও করলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চার্জশিট না দেওয়ায় ধৃতেরা জামিন পান। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে মামলা হওয়ায় গত ১৫ জানুয়ারি সিআইডিকে তদন্তভার দেওয়া হয়।
অভিযোগ, সিআইডি এখনও পর্যন্ত কয়েক জনকে শুধু জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তদন্তে এ-ও উঠে এসেছে যে জামিনে মুক্ত অভিযুক্তেরা শাসকদলের এক বিধায়কের ঘনিষ্ঠ।
এ দিন হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, রাজ্য পুলিশ তদন্তে গাফিলতি করেছে। মেয়েটিকে ভিন্ রাজ্যে পাচার করাও হয়ে থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে সিবিআই এই তদন্তের উপযুক্ত।