লকডাউন কলকাতায় চোখে পড়ার মতো ভাবে কার্যকরী করার চেষ্টা শুরু হয়েছিল সোমবার বিকেল থেকেই। কিন্তু মঙ্গলবার কেন্দ্রও দেশজোড়া ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করার পরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বেশি করে সংগ্রহ করতে অনেকেই রাস্তায় নেমে পড়েন। কোনও কোনও অঞ্চলে ছুটির মেজাজে জটলাও শুরু হয়। সে সবের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করে বুধবার সকালের মধ্যেই কলকাতার পরিস্থিতি অনেকটা বদলে ফেলেছে পুলিশ। কিন্তু লাগোয়া জেলাগুলোর অনেক জায়গাতেই এ দিন পুলিশি সক্রিয়তা সে ভাবে চোখে পড়ল না। গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ উড়িয়ে উত্তর চব্বিশ পরগনা, হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় হাটেবাজারে বহু লোকের জমায়েত দেখা গেল।
হাবড়া বা গোবরডাঙার মতো পুর শহরগুলোয় বুধবার সকাল থেকে রাস্তাঘাটে এবং দোকান-বাজারে স্বাভাবিক দিনের মতোই ভিড় দেখা গিয়েছে। স্বরূপনগরের মতো সীমান্তবর্তী অঞ্চল বা দত্তপুকুরের মতো শহর লাগোয়া এলাকাতেও রাস্তাঘাটে বহু লোকের জমায়েত দেখা গিয়েছে প্রায় দিনভর। শুধু দোকানে-বাজারে যাওয়া নয়, বাইকে বা সাইকেলে চড়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে লোকজনকে। ভ্যানরিকসশা বা অটোর মতো স্থানীয় গণপরিবহণ ব্যবস্থা চালু থাকতেও দেখা গিয়েছে বেশ কিছু এলাকায়।
কলকাতায় বুধবার দিনভর পুলিশের যে রকম তৎপরতা দেখা গিয়েছে, জেলার বিভিন্ন এলাকায় কিন্তু তা দেখা যায়নি। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে নাকা তৈরি হয়েছে ঠিকই। রাস্তায় গাড়িঘোড়ার সংখ্যাও অনেক কম। কিন্তু রাস্তাঘাটে পুলিশি টহলদারি যথেষ্ট ছিল না বলেই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। দেগঙ্গায় জমায়েত হঠাতে পুলিশের তৎপরতার খবর সামনে এসেছে এ দিন। তার প্রশংসাও হয়েছে বিভিন্ন মহলে। কিন্তু মফস্সলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে লকডাউনের প্রভাব অনেকটাই ফিকে মনে হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা আপডেট: দেশে আক্রান্ত ছাড়াল ৬০০, মৃত বেড়ে ১২