বারাসত হাসপাতালে হাতাহাতি নিজস্ব চিত্র।
জেলায় জেলায় করোনার টিকার আকাল। আর তা নিয়েই বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি কয়েকটি জায়গায়। কোথাও টিকা না পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আবার কোথাও টিকা নেওয়ার লাইন নিয়ে বচসার জেরে হাতাহাতি। আজ বারাসত হাসপাতালে দ্বিতীয় টিকা দেওয়া হচ্ছিল। সেখানেই হাতাহাতিতে জড়ালেন এক মহিলা ও এক ব্যক্তি। লাইনে কে আগে আছে আর কে পরে, তা নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত। মারামারি হওয়ার উপক্রম হয়। অভিযোগ, অনেকেই হাসপাতালের কর্মীদের ধরে লাইনে এগিয়ে যাচ্ছেন, আর সেখানেই আপত্তি লাইনে দাঁড়ানো অন্যদের।
দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালের টিকা কেন্দ্রেও একই ছবি ধরা পড়েছে। টিকা নিতে ভোর থেকে লাইন দিয়েছেন অনেকে। যদিও না থাকায় ফিরে যেতে হচ্ছে। দেগঙ্গা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সঞ্জয় চন্দ্র জানান, চাহিদা অনুযায়ী টিকা সরবরাহ না হওয়ার কারণে এই সমস্যা। তবে প্রথম টিকা যাঁরা নিয়েছেন তাঁদের সঠিক সময় আসলেই আমরা দ্বিতীয় টিকা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
রাজ্যের অন্য জেলার মতো টিকার আকাল পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও। বুধবারও কয়েকটি জায়গায় প্রথম টিকা দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র দ্বিতীয় টিকা দেওয়া হচ্ছে। জেলার জামালপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হয়রানির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন টিকা নিতে আসা লোকজন। তাঁদের অভিযোগ, দু’টি টিকার মাঝে কতদিনের বিরতি থাকবে সেটুকু তথ্যও মানুষকে দিতে পারছেন না স্বাস্থ্য কর্তারা। আর সেই কারণে লাইন দিয়েও অনেকে টিকা পাচ্ছেন না। এই বিষয়ে জামালপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক আধিকারিক জানান, বুধবার সকাল ১০টায় পোর্টাল চালু হতে দেখা যায় ৪২ দিনের কম বিরতিতে এন্ট্রিই হচ্ছে না। তাই এই সমস্যা। আমরা তাই বলেছি যাঁরা টোকেন নিয়েছেন তাঁদের আর লাইনে দাঁড়াতে হবে না। ৪২ দিন পরে এলেই চলবে।