প্রতীকী ছবি
নতুন বছরে ভাড়া বাড়ল দূরপাল্লার ট্রেনের। হিসেবমাফিক শিয়ালদহ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি বা এনজেপি পর্যন্ত ৫৭৩ কিলোমিটার দূরত্বে সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়া বাড়ছে ৬ টাকা, স্লিপারে ১১ টাকা এবং বাতানুকূলে প্রায় ২৩ টাকা।
বুধবারই উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে বর্ধিত ভাড়ার নোটিস সব ডিভিশনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, এ দিন থেকেই বাড়তি টাকা ধার্য হয়েছে। তবে একটি বিষয়ে যাত্রীদের রেহাই দিয়েছে রেল। সাধারণত ভাড়া বাড়লে যাদের আগে থেকে টিকিট কেটে রাখা থাকে, তাদের ট্রেনে উঠে সেই বাড়তি ভাড়া গুনতে হয়। রেল সূত্রে জানানো হয়, এ বারে আর এই বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে না।
রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, শহরতলির লোকাল ট্রেন এবং সিজন টিকিটের ক্ষেত্রে পুরনো ভাড়াই বহাল থাকছে। তবে তা উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলে চলে না। বাড়ানো হয়নি প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম, সংরক্ষণ মাসুলও। সুপার ফাস্ট সারচার্জে কোনও বদল আনা হয়নি বলেও রেল সূত্রে দাবি করা হয়। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, প্রায় পাঁচ বছর পরে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, ‘‘যাত্রী ভাড়া বাড়ার জন্য রেলের যে টাকা আয় হবে, তা যাত্রী নিরাপত্তা এবং যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যেই খরচ করা হবে।’’
তবে ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়েছে এনজেপি ভক্তিনগর রেল যাত্রীকল্যাণ সমিতি। সংগঠনের সভাপতি দীপক মোহান্তি বলেন, ‘‘যাত্রীদের পরিষেবা সময়ে দিতে পারছে না রেল। বিভিন্ন ট্রেনে ভাল করে সাফ করা হয় না। বাড়তি ভাড়া দিয়ে যাত্রীরা যদি একই পরিষেবা পায়, তা হলে লাভ কী!’’ যদিও রেল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, বাড়তি ভাড়া বাবদ আয় থেকে পরিষেবাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।