অসিত হালদার এবং নন্দলাল বসুর এমনই কিছু ছবি থাকবে প্রদর্শনীতে। ছবি কলাভবনের সৌজন্যে
অসিত হালদার এবং নন্দলাল বসু, কলাভবনের প্রথম যুগের দুই চিত্রশিল্পীর কিছু ছবি একসঙ্গে দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে বিশ্বভারতীর কলাভবন। নন্দনের ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর অমিতকুমার দণ্ড জানান, এমন প্রদর্শনী বিশ্বভারতীতেও প্রথম।
কলাভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪ অগস্ট, রবিবার সকাল ১১টায় নন্দন গ্যালারিতে প্রদর্শনীর উদ্বোধন হবে। উদ্বোধক হিসেবে অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিত থাকার কথা। চলবে ১০ অগস্ট পর্যন্ত। সকাল দশটা থেকে দুপুর দেড়টা এবং দুপুর আড়াইটে থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত প্রদর্শনী খোলা থাকবে। কলাভবনের শতবর্ষ উদ্যাপনের অঙ্গ হিসেবে প্রদর্শনীর আয়োজন বলে জানা গিয়েছে।
এই প্রদর্শনীর মধ্যে দিয়ে জনসমক্ষে আসছে অসিত হালদারের ম্যাসেনাইট বোর্ডে গৌতম বুদ্ধের জীবনী নিয়ে আঁকা ৩২টি তৈলচিত্র। ২০১৮ সালে কলাভবনের শতবর্ষ উৎসব শুরুর আগে ওই ছবিগুলি ছেলে আদেশ হালদার নেদারল্যান্ডস থেকে পাঠিয়েছিলেন। কলাভবন মিউজ়িয়ামের সংগ্রহে থাকা কিছু ছবিও এ বার প্রদর্শিত হবে। কলাভবনের ইতিহাসে অবিচ্ছেদ্য নাম অসিত হালদার ও নন্দলাল বসু। এক সময় দু’জনে মধ্যপ্রদেশের বাগগুহায় দীর্ঘ দিন কাজ করেছেন। সেখান থেকে অনুকৃত বহু ছবির নিদর্শন বিশ্বভারতীর চিনাভবন এবং কলাভবনে আছে। তেমন কিছু ছবির সঙ্গে অসিত হালদারের পোস্টকার্ডে আঁকা ছবিও প্রদর্শনীতে থাকছে। নন্দলাল বসু আবার ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে শান্তিনিকেতনের অনেক গাছের ছবি এঁকেছিলেন। তারও একটা অংশ প্রদর্শনীতে থাকছে। পোস্টকার্ডে পাখি, পশু, প্রকৃতি, পাহাড় এবং সমুদ্রের ছবি এঁকেছিলেন। সেগুলিও ঠাঁই পাচ্ছে প্রদর্শনীতে। দুই চিত্রশিল্পীর পরিচয় নিয়ে আর শিবকুমারের একটি প্রবন্ধ প্রদর্শনীতে থাকছে।
আজ, বৃহস্পতিবার কলাভবনের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন সঞ্জয়কুমার মল্লিক। এত দিন সেই দায়িত্ব সামলেছেন গৌতম দাস।
এমন প্রদর্শনীর উদ্যোগে শতবর্ষ উদ্যাপন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে তাঁরা দু’জনেই সক্রিয় ছিলেন। এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, ‘‘আমি নিজেও এমন প্রদর্শনী দেখতে মুখিয়ে আছি।’’