প্রতীকী ছবি
মদ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ছিল আবগারি দফতরের ওসি-র। ব্যবসায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের শুনানি জেলার বদলে, রাজ্য আবগারি কমিশনারের দফতরে করার আর্জি জানান। শুনানির পরে ব্যবসায়ীর বদলে তোলা আদায় ও হয়রানির অভিযোগে সাসপেন্ড হলেন ওসি-ই। বাঁকুড়ার আবগারি দফতরের বিষ্ণুপুর সার্কেলের সাসপেন্ড ওসি কবীর মণ্ডল অভিযোগ মানেননি।
আবগারি দফতরের খবর, বিষ্ণুপুরের দেশি মদ বিক্রেতা বিপত্তারণ সাহার বিরুদ্ধে লুকিয়ে বিলিতি মদ বিক্রি-সহ নানা অভিযোগ আনেন কবীর। শুনানির কথা ছিল বাঁকুড়ার আবগারি সুপারিন্টেন্ডেন্ট পিনাকী দাসের দফতরে। শুক্রবার পিনাকীবাবু বলেন, ‘‘অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আবগারি কমিশনারের দফতরে শুনানি করার আর্জি জানান। শুনানির পরে অনিয়মের জন্য দফতর বিষ্ণুপুর সার্কেলের ওসিকে সাসপেন্ড করে।’’ তিনি জানান, ওসি-র বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। কবীরের দাবি, ‘‘অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’’
বিপত্তারণবাবুর অভিযোগ, ‘‘জেলার মদ বিক্রেতাদের একটি সংগঠন ‘আবগারি আধিকারিকদের ভাগ দিতে হবে’ বলে আমাদের কাছ থেকে বোতল পিছু ৪৮ পয়সা করে নেয়। তাদের টাকা দিইনি। তার পরেই ওই ওসি হয়রান করা শুরু করেন। দোকানের ‘ইনস্পেকশন রেজিস্টার’ নিয়ে চলে যান।” তাঁর আরও দাবি, কিছু দিন ওই খাতা আটকে রাখা হয়। তোলা হয় মিথ্যা অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘‘কমিশনারের দফতরে ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে প্রমাণ দিই। সত্যের জয় হয়েছে।”
সংশ্লিষ্ট মদ বিক্রেতাদের সংগঠনের সম্পাদক তপন মণ্ডলের দাবি, ‘‘আবগারি আধিকারিকদের নাম করে আমাদের সংগঠন ব্যবসায়ীদের লভ্যাংশ থেকে টাকা তোলেনি।” বৈধ মদ ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা তোলার ‘প্রথা’ বন্ধের দাবি জানান ‘বাঁকুড়া জেলা অল এক্সাইজ লাইসেন্সি ওয়েলফেয়ার সমিতি’র সম্পাদক চন্দ্রনাথ আচার্য। জেলা আবগারি সুপারিন্টেন্ডেন্টের দাবি, ‘‘আবগারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে টাকা বা বাড়তি সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।” সম্প্রতি মদ ব্যবসায়ীদের লভ্যাংশ থেকে তোলা আদায়ের অভিযোগে পুরুলিয়ার ১৬ আবগারি আধিকারিক সাসপেন্ড হন।