রেণু খাতুন। ফাইল চিত্র।
হাত কাটা যাওয়ার পরে তিনি যখন হাসপাতালে লড়াই করছেন, সে সময়ে রাজ্য সরকারের তরফে তাঁর কৃত্রিম হাতের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। ঘটনার পরে কেটে গিয়েছে প্রায় ছ’মাস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে বর্ধমানে নার্সিং প্রশিক্ষণ স্কুলে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। তবে এখনও কৃত্রিম কব্জি বা হাত প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা হয়নি পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের রেণু খাতুনের।
সোমবার রেণু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন। তার পরে ছ’মাস কেটে গিয়েছে। কৃত্রিম হাতের জন্য পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কাছে আবেদন করেছি। মুখ্যমন্ত্রীর উপরে ভরসা রয়েছে। আশা করছি, কয়েক দিনের মধ্যে কৃত্রিম হাত লাগানো যাবে।’’
নার্সের চাকরিতে যাতে যোগ দিতে না পারেন, সে জন্য ঘুমের মাঝে রেণুর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে তাঁর ডান হাতের কব্জি কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল স্বামী ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার ২৫ দিনের মাথায় পুলিশ চার্জশিট দেয়। ছয় অভিযুক্তের মধ্যে রেণুর স্বামী শের মহম্মদ জেল হেফাজতে রয়েছে। বাকিরা জামিন পেয়েছে। ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যে বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রী একটি সভায় এলে, রেণু দেখা করেন। নার্সিং পরীক্ষায় সরকারি প্যানেলের সংরক্ষিত কোটায় ২২ নম্বরে নাম থাকা রেণুকে চাকরি দেওয়া ও কৃত্রিম হাতের ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রেণুর বিষয়ে আমরা নিয়মিত খোঁজ নিই। এখনও কৃত্রিম হাত না পেয়ে থাকলে, কমিশন ফের খোঁজ নেবে।’’ পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ (জনস্বাস্থ্য) বাগবুল ইসলামের বক্তব্য, ‘‘রেণুর কৃত্রিম হাত কেনার জন্য চার লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এ সপ্তাহেই দরপত্র ডাকা হবে।’’ প্রতিস্থাপনের বিষয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ সহযোগিতা করবে বলে জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে।