প্রতীকী ছবি।
মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল্যায়ন কী ভাবে হবে তা শুক্রবার ঘোষণা করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চ শিক্ষা সংসদ। ২০২১-এর মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা এই মূল্যায়নের ফলে কত নম্বর পেতে পারেন, তার একটা নমুনাও দিয়েছে পর্ষদ এবং সংসদ।
নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর এবং দশম শ্রেণির ইন্টারনাল ফর্মেটিভ অ্যাসেসমেন্টে প্রাপ্ত নম্বরকে সমান গুরুত্ব দিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশিট তৈরি হবে। অর্থাৎ এই মূল্যায়ন হবে ৫০-৫০ হারে।
উচ্চমাধ্যমিকের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের মাধ্যমিকে যে চারটি বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে পরীক্ষার্থী তার সেই প্রাপ্ত নম্বরের ৪০ শতাংশ এবং ২০২০-র একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় (থিওরি) প্রাপ্ত নম্বরের উপর ৬০ শতাংশ। তার সঙ্গে দ্বাদশ শ্রেণির প্রজেক্ট (২০ নম্বর) বা প্র্যাক্টিকালের (৩০ নম্বর) নম্বর যুক্ত করে মূল্যায়ন করা হবে।
৪০ শতাংশের ক্ষেত্রে
মাধ্যমিকের ৪০ শতাংশ ওয়েটেজ। অর্থাৎ ৭০ এর ৪০ শতাশং= ২৮। কোনও পড়ুয়া যদি মাধ্যমিক পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি নম্বর পাওয়া চারটি বিষয়ে অর্থাৎ ৪০০ নম্বরের মধ্যে ২০০ নম্বর পান তা হলে তাঁর ওয়েটেজ অনুযায়ী প্রাপ্ত নম্বর হচ্ছে ২৮x২০০/৪০০= ১৪।
৬০ শতাংশের ক্ষেত্রে
একাদশ শ্রেণির ৬০ শতাংশ ওয়েটেজ। ৭০-এর ৬০ শতাংশ= ৪২। কোনও পরীক্ষার্থী (পদার্থবিদ্যায়) একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় কোনও বিষয়ে ৭০-এর মধ্যে ৫০ পান, তাহলে একাদশ শ্রেণির ওয়েটেজ অনুযায়ী সেই পড়ুয়ার প্রাপ্ত নম্বর
৪২x ৫০/৭০= ৩০। তা হলে সেই বিষয়ে পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর হল ১৪+৩০+২৮=৭২। এই মূল্যায়ন প্রযোজ্য হবে প্র্যাক্টিকাল রয়েছে সেই সব বিষয়ের ক্ষেত্রে। তবে আর্টস এবং কমার্সের ক্ষেত্রে পূর্ণমান ৭০ এর জায়গায় ৮০ এবং প্র্যাক্টিক্যালের নম্বর ৩০-এর জায়গায় ২০ হবে। এবং একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে।
যে সব স্কুল এখনও একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার মার্কশিট সংসদকে জানায়নি, তাদের অবিলম্বে সেই নম্বর পাঠাতে পরামর্শ দিয়েছে সংসদ। না হলে সেই স্কুলের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা যাবে না।
গ্রাফিক: সন্দীপন রুইদাস।