শোভন চট্টোপাধ্যায়
বড় আবাসনের ক্ষেত্রে এ বার থেকে প্রাথমিক ছাড়পত্র পেতে প্রথমেই পরিবেশ দফতরের চূড়ান্ত ছাড়পত্র জমা দিতে হবে। তা না দিলে সংশ্লিষ্ট প্রোমোটার আবাসন তৈরির কাজে হাতই দিতে পারবেন না।
এত দিন পরিবেশ দফতরের প্রাথমিক ছাড়পত্র পেতে পরিবেশ সংক্রান্ত সব কাগজপত্র আগাম না দিলেও চলত। আবাসন নির্মাণের পরে দেখা যেত, পরিবেশ-বিধি অনেক ক্ষেত্রেই মানা হয়নি। পরিবেশ দফতর আদালতে গেলে সংশ্লিষ্ট প্রোমোটারের জরিমানা হত। তখন শুধু জরিমানা দিয়েই ছাড় পেয়ে যেতেন ওই প্রোমোটার। পরিবেশ-বিধি আর মানার প্রয়োজন হত না।
সোমবার রাজ্যের আবাসন ও পরিবেশমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ২০,০০০ বর্গ মিটার বা তার চেয়ে বড় কোনও জমিতে আবাসন তৈরির জন্য প্রাথমিক ছাড়পত্র পেতে আগেই জমির ঊর্ধ্বসীমার মাপ সংক্রান্ত শংসাপত্র (ইউএলসি সার্টিফিকেট), জমির চরিত্রে কোনও রকম পরিবর্তন বয়েছে কি না অর্থাৎ, পুকুর বুজিয়ে বাড়ি তৈরি হচ্ছে কি না, সে সংক্রান্ত কাগজপত্র এবং প্রস্তাবিত আবাসনের পরিকল্পনার নকশা পরিবেশ দফতরে জমা দিতে হবে। ওই সব খতিয়ে দেখে তবেই পরিবেশ দফতর প্রাথমিক ছাড়পত্র দেবে।
শোভনবাবু এ দিন বলেন, ‘‘জমির চরিত্র যাতে কোনও রকম ভাবে পরিবর্তন না করা হয় এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকে, তা সুনিশ্চিত করতেই এই নয়া ব্যবস্থা।’’ কী পরিস্থতিতে জমির পরিবর্তন হয়েছে সেই ব্যাপারে জেলাশাসক বা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকেরা ছাড়পত্র না দিলে প্রাথমিক ভাবে আবাসন প্রকল্পের মালিককে জমি ব্যবহারের অনুমতি দেবে না
পরিবেশ দফতর।
শোভনবাবুর অভিযোগ, এতদিন পরিবেশ দফতরের প্রাথমিক ছাড়পত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে ইউএলসি সার্টিফিকেট, কনভারশন সার্টিফিকেট ও আবাসনের পরিকল্পনার নকশা জমা দিতে হত না। সে ক্ষেত্রে পরিবেশ দফতরের ওই ত্রুটিপূর্ণ প্রাথমিক ছাড়পত্র দেখিয়ে অনেক প্রোমোটার সরাসরি পুরসভায় গিয়ে বিল্ডিং বিভাগের ছাড়পত্র নিতেন। পরবর্তী কালে প্রোমোটার আদালতে গেলে জরিমানা দিয়েই ছাড় পেয়ে যেতেন তাঁরা। কাজের কাজ হত না।