Mehul Choksi

ED-Vinay Mishra: মাল্য ও চোক্সীদের গোত্রেই বিনয়কে ফেলার তোড়জোড়

২০১৮ সালে বিদেশে পালিয়ে যান বিনয়। তিনি প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র ভানাটু-র নাগরিকত্ব নিয়েছেন বলে তদন্তকারীরা জানান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২২ ০৫:৩৫
Share:

ফাইল চিত্র।

কিংফিশারের কর্ণধার বিজয় মাল্য, শিল্পপতি মেহুল চোক্সী ও নীরব মোদীর বিরুদ্ধে আইনের যে-ধারায় তদন্ত চলছে, কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রের বিরুদ্ধে সেই ধারা প্রয়োগের জন্য আইনি প্রস্তুতি শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

Advertisement

ইডি ইতিমধ্যেই দিল্লিতে তাদের সদর দফতরে বিনয়ের নামে মামলা দায়ের করেছে। তদন্তকারীরা জানান, ‘ফিউজিটিভ ইকনমিক অফেন্ডার’ (পলাতক আর্থিক অপরাধী) হিসেবে আইনের ধারায় বিনয়কে অভিযুক্ত বলে ঘোষণা করার জন্য সম্প্রতি নিম্ন আদালতে আবেদন করা হয়েছে। দেশ ও বিদেশে থাকা তাঁর সমস্ত বিষয়সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য আইনি প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে।

এর মধ্যে বিনয়ের বিরুদ্ধে ‘লুক আউট নোটিস’ জারি করে ইন্টারপোলকে সতর্ক করে দিয়েছে সিবিআই। তাঁর খোঁজ দিতে পারলে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপনও দিয়েছে ওই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।

Advertisement

ইডি সূত্রের খবর, ২০১৮ সালে বিদেশে পালিয়ে যান বিনয়। তিনি প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র ভানাটু-র নাগরিকত্ব নিয়েছেন বলে তদন্তকারীরা জানান। অভিযোগ, ওই দ্বীপরাষ্ট্র-সহ বিদেশে বিপুল বিষয়সম্পত্তি কিনেছেন বিনয়। তা ছাড়া তিনি বিদেশে বিভিন্ন ব্যবসায় কয়েকশো কোটি টাকা বিনিয়োগও করেছেন বলে সম্প্রতি কয়েকটি সূত্রে জানতে পেরেছে সিবিআই। বছর দেড়েক আগে দুবাইয়ে ভারতীয় দূতাবাসে এ দেশের পাসপোর্ট জমা দিয়ে তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রত্যাখ্যান করেন।

তদন্তকারীদের দাবি, কয়লা ও গরু পাচারের কয়েক হাজার কোটি টাকা বিনয়ের মাধ্যমে হাওয়ালায় বিদেশে পাচার করা হয়েছে। বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাচারের লভ্যাংশের একটি বড় অংশ জমা দিয়েছেন তিনি। পাচারের টাকাতেই তিনি বিদেশে নামে-বেনামে প্রভূত সম্পত্তি কিনেছেন বলে অভিযোগ। বিনয় দুবাই ও লন্ডনে যাতায়াত করছেন বলে তদন্তকারীরা নানা সূত্রে খবর পাচ্ছেন এবং তা খতিয়ে দেখছেন।

তদন্তকারীদের দাবি, মূলত বিনয় এবং তাঁর ভাই বিকাশের মাধ্যমে পাচার চক্রের লভ্যাংশের টাকা বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছে পৌঁছেছে। বিকাশকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হয়েছিল। সিবিআইয়ের মামলায় বিকাশ আছেন জেল হেফাজতে।

ইডি জানায়, এ দেশে বিনয় ও বিকাশের সমস্ত সম্পত্তি ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কলকাতায় কালীঘাটের ধর্মদাস লেনে বিনয়ের বাড়িতে থাকতেন তাঁর বাবা ও মা। নথিপত্র থেকে জানা গিয়েছে, বিনয়ের একাধিক সংস্থার সঙ্গে তাঁর বাবা-মায়ের নামও জড়িয়ে আছে। কিন্তু প্রায় দু’বছর ধরে বিনয়ের বাবা-মায়ের হদিস নেই। সিবিআইয়ের অভিযোগ, একাধিক বার নোটিস দিয়েও তাঁদের হদিস পাওয়া যায়নি।

পাচার কাণ্ডে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বিনয় অভিষেক-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এই মামলায় রাজ্য পুলিশের একাধিক কর্তা এবং নিচু তলার কর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement