কয়লা পাচার কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত, ‘পলাতক’ বিনয় মিশ্রের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তদন্তকারীদের দাবি, প্রায় ১৭১ কোটি টাকার সম্পত্তি ইতিমধ্যে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ইডি সূত্রের খবর, কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিনয়ের সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১৩৫২ কোটি টাকা। ধাপে ধাপে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন ইডি-কর্তারা। কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্ত শুরুর পর থেকেই বিনয় দেশছাড়া। পাচার কাণ্ডে তাঁর ভাই বিকাশকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বিকাশকে হেফাজতে নেয় সিবিআই। শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিকাশ অন্তর্বর্তী জামিনে রয়েছেন।
বিনয়-ঘনিষ্ঠ বাঁকুড়া সদর থানার আইসি অশোক মিশ্রকেও দিল্লি থেকে গ্রেফতার করেছে ইডি। অশোক এখন জেল হেফাজতে। তদন্তকারীদের দাবি, মোট ১০৯ দিনে পুলিশের গাড়িতে করে কয়লা পাচারের লভ্যাংশের কয়েক কোটি টাকা বিনয়ের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন অশোক।
ইডি ও সিবিআইয়ের অভিযোগ, বিনয় কয়লা পাচার চক্র চালাতেন রাজ্য পুলিশের একাংশের যোগসাজশে। পাচার কাণ্ডের অন্যতম মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআই ও ইডি-র তদন্তকারীরা। তবে তাঁরা জানান, সুপ্রিম কোর্টের আইনি রক্ষাকবচ থাকায় লালাকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি।
সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের অভিযোগ, বিনয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছে কয়লা পাচারের লভ্যাংশের কয়েক হাজার কোটি টাকা পৌঁছেছে। কয়েক
জনের বিদেশের ব্যাঙ্কেও নাকি ওই টাকা জমা পড়েছে বলে তদন্তে জানা গিয়েছে।
প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র, ভানাটু-র নাগরিকত্ব নিয়ে বিনয় সেখানেই আছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর। কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের এফআইআর খারিজ করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। সেই আবেদনের শুনানি চলছে। তাঁর আইনজীবীদের বক্তব্য, যদি গ্রেফতার করা না-হয়, একমাত্র তা হলেই তাঁদের মক্কেল ভারতে এসে তদন্তকারীদের মুখোমুখি বসতে রাজি। এই ব্যাপারে সিবিআইয়ের বক্তব্য জানতে চেয়েছে আদালত।