প্রতীকী ছবি।
কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড এবং করোনার ওষুধের কালোবাজারির মামলায় কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বুধবার তারা কসবা ভ্যাকসিন কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের বাড়িতেও হানা দেয়। দেবাঞ্জনের বাবা, মা ও বোনের বয়ান নথিভুক্ত করেন তদন্তকারীরা।
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, মে মাসে একবালপুর থানা এলাকায থেকে করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ রেমডেসিভিরের ১২০টি ভায়াল উদ্ধার করেছিল কলকাতা পুলিশ। ওই ঘটনায় জীবনদায়ী ওষুধের কালোবাজারির অভিযোগে এক চিকিৎসক-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। কসবা থানা এলাকার এক চিকিৎসক ওষুধের কালোবাজারির মূল চক্রী বলে তদন্তকারীদের অভিযোগ। এ দিন সেই চিকিৎসকের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি। ওই চিকিৎসককে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর বয়ান লিপিবদ্ধ করা হয়।
এ দিন দেবাঞ্জনের এক আত্মীয়ের লেনিন সরণির অফিসে হানা দেন তদন্তকারীরা। বাগড়ি মার্কেটের কয়েক জন ওষুধ কারবারির অফিস এবং দোকানেও চলে তল্লাশি অভিযান।
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, মে মাসে করোনা সংক্রমণ যখন প্রবল ভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল, তখন জীবনদায়ী ওষুধ, অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ব্যাপক কালোবাজারি হয়েছিল বলে অভিযোগ। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে জীবনদায়ী ২৬টি ওষুধের ভায়াল লোপাট হয়ে যায় বলেও অভিযোগ ওঠে। তদন্তকারীদের অভিযোগ, কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড এবং মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে জীবনদায়ী ওষুধ লোপাটের ঘটনায় ‘প্রভাবশালী ব্যক্তিদের’ যোগ রয়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। ওষুধ কালোবাজারির ঘটনায় বেশ কয়েক কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। চুরি ও কালোবাজারির ঘটনায় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আড়াল করার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন তদন্তকারীরা।
কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন মামলায় এ দিন আলিপুর আদালতের অতিরিক্ত বিচার বিভাগীয় বিচারকের এজলাসে চার্জশিটের প্রতিলিপি দেওয়া হয় অভিযুক্তদের আইনজীবীদের। ওই ভুয়ো টিকা কাণ্ডে অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘প্রায় এক হাজার পাতার চার্জশিট। এই মুহূর্তে তা বোঝা সম্ভব নয়।’’ ৮ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন বিচারক।