অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফাইল চিত্র।
ইডি-র দিল্লিতে সমনের বিরুদ্ধে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন। ইডি ফের কয়লা-কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগামিকাল দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে। তার ২৪ ঘণ্টা আগে, অভিষেকের তরফে আজ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে ওই মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণা আজই শুনানিতে রাজি হননি। তিনি জানিয়েছেন, দ্রুত শুনানির বিষয়টি বিবেচনা করবেন। কিন্তু কবে শুনানি হবে, তা নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি। ফলে আগামিকাল দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে অভিষেককে সমনও বহাল থাকছে।
গত সপ্তাহেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তবে তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে সমন করা হলেও তিনি আসেননি। ইডি-র সমনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও করেন অভিষেক-রুজিরা। তাঁদের হয়ে আজ আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি ও কপিল সিব্বল প্রধান বিচারপতির সামনে ওই মামলার উল্লেখ করে দ্রুত শুনানির অনুরোধ জানান।
অভিষেকদের মামলার প্রধান যুক্তি ছিল, ইডি আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধ আইনে পশ্চিমবঙ্গের বেআইনি কয়লা পাচারের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে ডেকে পাঠাচ্ছে। হেনস্থা করার উদ্দেশ্যে কোনও ভৌগোলিক সীমানা মানা হচ্ছে না। আজ প্রধান বিচারপতিকে সিব্বল বলেন, এর সঙ্গে আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধ আইনের ব্যাখ্যার প্রশ্ন জড়িত। আর্থিক নয়ছয় আইন ও ফৌজদারি দণ্ডবিধির সম্পর্কের প্রশ্নও রয়েছে। এর ফয়সালা হওয়া প্রয়োজন। কারণ, মামলাকারীদের রোজ সমন পাঠানো হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি জানান, তিনি বিষয়টি দেখবেন।
সূত্রের খবর, অভিষেক-রুজিরার দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, ইডি তাঁদের নিশানা করে শায়েস্তা করতে চাইছে। অভিষেকের দল কেন্দ্রের শাসক দলকে ভোটে গো-হারা হারিয়েছে। তার পরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারীসংস্থাকে কাজে লাগিয়ে তাঁদের নিশানা করা হচ্ছে। তদন্তের ভৌগোলিক সীমানার মূল নীতি মানা হচ্ছে না। কোথায় অপরাধ হয়েছে, কোথায় সমন পাঠানো ব্যক্তি থাকেন, তা না দেখেই দিল্লিতে সমন পাঠানো হচ্ছে। কলকাতায় চালু অফিস থাকা সত্বেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে ডাকা হচ্ছে। মনে হচ্ছে, ইডি দ্রুত তদন্তের থেকে অভিষেক-রুজিরাকে হেনস্থা করতেই বেশি উৎসাহী।