প্রতিবাদে নাগরিক সমাজ।
এত দিন পর্যন্ত জনমত সংগঠিত হচ্ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। শুক্রবার তা নেমে এল কলকাতার রাজপথে। ‘নো এনআরসি— তোল আওয়াজ’ নামে ফেসবুকে তৈরি হওয়া নেটিজেন গ্রুপটির প্রথম সভা হল এ দিন অ্য়াকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের সামনে রাণুছায়া মঞ্চে। যেখানে যোগ দিলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী, অম্বিকেশ মহাপাত্র, চলচ্চিত্র জগতের অনীক দত্ত, বাদশা মৈত্র প্রমুখ। ওই সভায় এনআরসি বিরোধী বহু আলোচিত যুক্তিগুলি ফের ব্যাখ্যা করার পাশাপাশিই নিশানা করা হল পপুলেশান রেজিস্টার বা জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জিকেও। যে পঞ্জিকে সংক্ষেপে এনপিআর বলা হচ্ছে।
ওই সভায় বলা হয়, এনপিআর-এর সঙ্গে জনগণনার কোনও সম্পর্ক নেই। এটা জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)-রই প্রথম ধাপ। এনপিআর মারফত রাষ্ট্র নাগরিকের তথ্য চুরি করার চেষ্টা করছে, যা করার তাদের অধিকার নেই। বিপরীতে, মানুষ যে সব তথ্য ওই পঞ্জিতে দিতে চাইবেন না, তা না দেওয়ার অধিকার তাঁদের আছে। গত ৩১ জুলাই কেন্দ্রীয় সরকার এনপিআর সংক্রান্ত যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, তাতে বলা আছে, অসম বাদ দিয়ে দেশের বাকি অংশে তা প্রযোজ্য হবে। আর ২০২১-এ যে জনগণনা হবে, তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার পৃথক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে গত ২৬ মার্চ। মানবিকতা মঞ্চ নামে এনআরসি বিরোধী অন্য একটি সংগঠন এনপিআর-কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছে।