কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। ফাইল চিত্র।
কোনা এক্সপ্রেসওয়ের উপর দিয়ে উড়াল পথ (এলিভেটেড করিডর) নির্মাণের জন্য সংস্থা নির্বাচনের কাজ শেষ। সব ঠিকঠাক থাকলে এ বছরের শেষে নির্মাণ কাজ শুরু হতে পারে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ওই পথে বসতে পারে ‘টোল’। সেই আদায়ের নিয়ন্ত্রণ জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের (এনএইচএআই) হাতেই। তবে কী পদ্ধতিতে সেই ব্যবস্থা করা হবে, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট হয়নি। সরকারি সূত্রের বক্তব্য, টোল নিয়ে আলোচনা চলছে। শীঘ্রই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বিদ্যাসাগর সেতু থেকে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের উপর দিয়ে ছ’লেনের ৬.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়াল পথ পৌঁছবে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে। নির্মাণে খরচ হবে এক থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা। নির্মাণের খরচই করার কথা এনএইচএআই-এর। পূর্ত বিভাগের কর্তাদের একাংশ জানান, সাধারণত এই ধরনের কাজে জমি জোগাড় করে দিতে হয় সরকারকে। বাকি খরচ সামলায় কর্তৃপক্ষ। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় আইন অনুযায়ী জমি জোগাড় করা হয়েছিল। ফলে সেই বাবদ কেন্দ্রকে রাজ্যের দেওয়ার কথা দু’ থেকে আড়াইশো কোটি টাকা।
পূর্ত দফতর সূত্রের বক্তব্য, এই ধরনের কাজ শেষ হওয়ার পরে খরচের অর্থ তোলার জন্য পরিকাঠামোর উপর ‘টোল’ বসানো হয়। তা এনএইচএআই-এর নিয়ন্ত্রণে থাকে। অর্থাৎ, টোল বাবদ পাওয়া অর্থ যায় তাদেরই হাতে। শুরুতে এখানেই প্রশ্ন ছিল, সেই নিয়ন্ত্রণ এনএইচএআই নিজের হাতে রাখলে জমি বাবদ অর্থ কি রাজ্যকে দিতে হবে? পূর্ত দফতরের এক কর্তার কথায়, “এটা নিয়ে শুরুতে আলোচনা ছিল ঠিকই। তবে তা রাজ্যেরই দেওয়ার কথা। গোটা দেশে এই পদ্ধতিতেই কাজ করে এনএইচএআই।”
পূর্ত-বিশেষজ্ঞরা জানান, টোল পরিকাঠামো বসানোর নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি রয়েছে। একটি টোলের সঙ্গে আরেকটি টোল সংগ্রহ কেন্দ্রের মধ্যে নির্দিষ্ট দূরত্ব রাখতে হয়। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর পর থেকেই এই উড়াল পথ তৈরি হওয়ার কথা। অথচ সেখানেই একটি টোল সংগ্রহের কেন্দ্র আছে। টোল সংগ্রহ কেন্দ্র তৈরিতে অনেকটা জায়গার প্রয়োজন। যা ছ’লেনের উড়াল পথে থাকার কথা নয়। তাই সেতুর উপরেই থাকা টোল-কেন্দ্র থেকে সেটি পরিচালিত হবে কি না, সেই আলোচনাও চলছে। প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, “সব দিক খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত হবে।”