মৃত হাতিকে মালা স্থানীয় বাসিন্দাদের। —নিজস্ব চিত্র
মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই ট্রেন চালকের তৎপরতায় প্রাণ বেঁচেছিল দু’টি হাতি। কয়েক ঘণ্টা পরে অন্য ট্রেনের ধাক্কাতেই প্রাণ গেল পূর্ণবয়স্ক দু’টি হাতির। বুধবার ভোর বেলা শিলিগুড়ি থেকে কাটিহারগামী একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ধাক্কায় খড়িবাড়ির কাছে বাতাসীতে মারা যায় ওই দু’টি হাতি। বাগডোগরা রেঞ্জের অন্তর্গত ওই এলাকাটি হাতি যাতায়াতের করিডর হিসাবেই পরিচিত।
কেন চালক সতর্ক ছিলেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বন দফতরের আধিকারিকরা। বন দফতর সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন ধরেই বাতাসী এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল তিরিশ থেকে চল্লিশটি হাতির একটি দল। খড়িবাড়ি, নকশালবাড়ি এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ঢুকে ফসল নষ্ট করা থেকে শুরু করে বাড়ি-ঘর ভাঙারও খবরও আসছিল। বনদফতরের দাবি, রেলের কাছেও তথ্য ছিল যে ওই চত্বরে হাতির একটা বড় দল ঘোরাফেরা করছে। তারপরও হাতি করিডর হিসাবে চিহ্নিত এলাকার মধ্যে কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল?
উত্তর পূর্ব রেলের পক্ষে সরকারি ভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও, রেলের আধিকারিকদের দাবি, ঘন কুয়াশা ছিল ভোরবেলা। সেই কারণেই চালক দেখতে পাননি। দুর্ঘটনার পরে লাইনের ধারেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে যায় দু’টি হাতিই। এলাকার মানুষ ভিড় শুরু করেন হাতির মৃতদেহ ঘিরে। ওই এলাকার বাসিন্দাদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী তাঁরা ফুল, ধূপ দিয়ে মৃত হাতি দুটির পুজো করেন। দুপুরের পরে দেহ দুটি ময়না তদন্তের জন্য তুলে নিয়ে যায় বনদফতর।
এই করিডর দিয়েই হাতি পারাপার করে।