পুরভোট ৩ অক্টোবর

তিন কর্পোরেশনের সঙ্গে সাত পুরসভাকে মিলিয়ে দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। সেইমতো ভোটের প্রস্তুতিও শুরু করে দিল নির্বাচন কমিশন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৫ ০৩:১৩
Share:

তিন কর্পোরেশনের সঙ্গে সাত পুরসভাকে মিলিয়ে দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। সেইমতো ভোটের প্রস্তুতিও শুরু করে দিল নির্বাচন কমিশন। সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায় জানান, ভোটের দিন ঠিক হয়েছে ৩ অক্টোবর। রাজ্য সরকার চিঠি দিয়ে তা জানিয়েছে। কমিশনের এতে আপত্তি নেই। রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও ওই দিন ভোটের কথাই জানিয়েছেন।

Advertisement

যে তিনটি কর্পোরেশনের ভোট বকেয়া রয়েছে, সেগুলি হল: হাওড়া, আসানসোল ও বিধাননগর।

কমিশনার জানান, ‘‘রাজ্য সরকার আমাদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, নবগঠিত আসানসোল পুরসভায় ১০৬টি, হাওড়ায় ৬৬টি এবং বিধাননগরে ৪০টি ওয়ার্ড থাকবে।’’ আসানসোলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কুলটি, রানিগঞ্জ ও জামুড়িয়া পুরসভা। হাওড়ার সঙ্গে বালি পুরসভা। সল্টলেকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভা এবং মহিষবাথান পঞ্চায়েতের একটি অংশ।

Advertisement

কমিশনের এক মুখপাত্র জানান, আসানসোল ও বিধাননগর পুরসভায় ভোট করতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু সমস্যা রয়েছে হাওড়া পুরসভা নিয়ে। তাঁর কথায়, ৫০টি ওয়ার্ড নিয়ে তৈরি বর্তমান হাওড়া পুরসভার ভোট হয়েছে গত এপ্রিলে। অথচ এর সঙ্গে বালি পুরসভার যে ১৬টি ওয়ার্ড যুক্ত হয়েছে, তার নির্বাচন বকেয়া হয়েছে বেশ কয়েক মাস আগে। এই অবস্থায় কী ভাবে হাওড়া পুরসভার ভোট হবে, তা ঠিক করতে আইনজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।

যে সাতটি পুরসভাকে তিনটি কর্পোরেশনের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হল, তা নিয়ে মামলা গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। কমিশন চেয়েছিল, মিলে যাওয়ার আগেই সাতটি পুরসভার ভোট করিয়ে নিতে। অন্য দিকে, নতুন কপোর্রেশন তৈরির পরেই ভোট করতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্টে এই লড়াইয়ে শেষমেশ রাজ্য সরকারের মতই প্রতিষ্ঠিত হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement