রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ। —ফাইল চিত্র।
সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত ভোট। কিন্তু দশটা পর্যন্ত তাঁর দেখা মেলেনি। প্রায় তিন ঘণ্টা পর রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে এলেন কমিশনার রাজীব সিংহ।
কিন্তু সকাল থেকে তিনি কোথায় ছিলেন, কখন পৌঁছবেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলতে পারেননি কমিশনের অন্য কর্তারা।
সকাল থেকে নির্বাচন কমিশনের দফতর ছিল কার্যত অভিভাবকহীন। কন্ট্রোল রুমে এক ডজন ল্যান্ড ফোন রয়েছে। অনবরত সেগুলি বেজে চলেছে। কিন্তু কমিশনার ছিলেন না। তাঁকে মোবাইলে ফোন করেও পাওয়া যায়নি। অথচ সকাল থেকেই কমিশনে অভিযোগের পাহাড় জমছে। শনিবার সাত সকালে দফতরে পৌঁছে গিয়েছিলেন সচিব নীলাঞ্জন শাণ্ডিল্য। বাকি কর্তারাও ফোন, অভিযোগ সামলাতে দিশাহারা।
কমিশনের কন্ট্রোল রুম থেকে অনেক ক্ষেত্রেই ভুয়ো আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। কাউকে বলা হচ্ছে ঠিক সময়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছে যাবে। কাউকে বলা হচ্ছে থানায় যান। যে পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা তা যে ভোটের সকালে পৌঁছবে না শুক্রবারেই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। শনিবার সকাল থেকে সব জেলাতেই দেখা গিয়েছে, বহু ভোটকেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই। কিছু কিছু জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও ভোটের নিরাপত্তার কাজে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ।
ভোট শুরু হওয়ার পর থেকে হিংসার ছবি দেখা যাচ্ছে জেলায় জেলায়। মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার, মালদহ মিলিয়ে একাধিক খুনের ঘটনাও ঘটে গিয়েছে। কমিশনের কর্তাদের প্রশ্ন করা হয়, কোন জেলা থেকে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসছে? জবাবে তাঁরা জানান, সব জেলা থেকেই অভিযোগ আসছে। আলাদা করে বলা যাবে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে কমিশনের কর্তারা কার্যত হিমশিম খাচ্ছেন। ভোট শুরুর প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর যুগ্ম কমিশনার সঞ্জয় বনসল দফতরে পৌঁছন। তিন ঘণ্টা পর দফতরে পৌঁছন কমিশনার রাজীব।