জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাতো। —নিজস্ব চিত্র।
অবশেষে মুক্তি মিলল। পঞ্চায়েত ভোটের আগের দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রাম সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পেলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলার ঘটনায় ধৃত কুড়মি সমাজের নেতা রাজেশ মাহাতো এবং শিবাজী মাহাতো। জেল থেকে মুক্তির পর রাজেশ বলেন, ‘‘সওয়াল বন কর ফির আয়ুঙ্গা , জবাব তেয়ার রাখনা। জেল মে বিতে হুয়ে ইয়ে দিন বেকার নেহি জায়েগা, এক এক দিন কা হিসাব রাখনা (প্রশ্ন হয়ে ফিরব। জবাব তৈরি রাখুন। জেলে কাটানো দিন ব্যর্থ হবে না। এক এক দিনের হিসাব রাখবেন)।’’ কাকে উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করলেন তা স্পষ্ট করেননি কুড়মি নেতা। তবে মন্তব্য থেকে অনুমান করা যায়, রাজেশ নিশানা করেছেন রাজ্যের শাসকদলকে।
গত বৃহস্পতিবারই মেদিনীপুর আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন রাজেশরা। কিন্তু তার আগে ঝাড়গ্রাম জেলার ছটি মামলায় জেলবন্দি কুড়মি নেতা রাজেশ এবং শিবাজী জামিন পেয়েও জেল থেকে বার হতে পারেননি। খড়্গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত খেমাশুলিতে জাতীয় সড়ক অবরোধের পুরনো মামলায় তাঁদের জেলে থাকতে হয়। শুক্রবার মেদিনীপুর আদালত থেকে দুই নেতার জামিনের কাগজপত্র আসে ঝাড়গ্রাম সংশোধনাগারে। সেই নথি খতিয়ে দেখে জেল কর্তৃপক্ষ তাঁদের মুক্তি দেন। সন্ধ্যায় জেল থেকে বেরিয়ে কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাতো বলেন, ‘‘আমরা আইনের উপর বিশ্বাস এবং ভরসা রেখেছিলাম। ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ভাবেই চলবে।’’ তাঁর সংশোধন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগের দিন আমি সমস্ত প্রার্থীকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। জঙ্গলমহলের শান্তি বজায় রাখার দায়িত্ব সবার। সবাই শান্তি, মৈত্রী এবং ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখবেন।’’ এর পরেই হিন্দিতে সংলাপ বলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ মে অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচিতে ঝাড়গ্রাম থানার অন্তর্গত গড়শালবনি এলাকায় নেতার কনভয়ের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে। ভাঙচুর হয় রাজ্যের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদার গাড়ি। তাতে রাজেশ মাহাতো, শিবাজী মাহাতো, অনুপ মাহাতো-সহ ১১ জন কুড়মি নেতা এবং আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করা হয়। কুড়মি নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক পুরনো মামলা যুক্ত করা হয়। শুক্রবার ঝাড়গ্রামের বিশেষ সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেলেন রাজেশ এবং শিবাজী।