রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে হতে পারে, সে ব্যাপারে তাঁর দফতর এখনও কিছু জানে না। সবটাই সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে হবে। বুধবার রাজ্যের নতুন নির্বাচন কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে এমনটাই জানালেন রাজীব সিংহ। তাঁর কথায়, ‘‘সরকার সব জানে।’’ বছর কয়েক আগে রাজীব রাজ্যের মুখ্যসচিব ছিলেন।
রাজীবের দাবি, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে রাজ্য সরকারই। তাদের কাছ থেকে তারিখ জেনে তা ঘোষণা করে কমিশন। কমিশনের মূল দায়িত্ব সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন করানো। নির্বাচনের দিন নির্ধারণ নয়। রাজীব সবে দায়িত্ব পেয়েছেন। নবান্নের তরফে এখনও পর্যন্ত তাঁকে নির্বাচনের দিনক্ষণ জানানো হয়নি। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে নিযুক্ত হওয়ার পর বুধবার রাজীব বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোট রাজ্য নির্বাচন কমিশনের একক সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে না। রাজ্য সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে, তাদের মতামত জেনে কমিশন একটি তারিখ ঘোষণা করে। তাই পঞ্চায়েত ভোট কবে, তা সরকারই বলতে পারবে। আমাদের কাজ হল নিয়ম মেনে নির্বাচন করানো।’’
নির্বাচন কমিশনার পদে দায়িত্ব নিলেন রাজীব সিংহ। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্য সরকারই নির্বাচন কমিশনার হিসাবে রাজীবের নাম প্রস্তাব করেছিল। রাজভবন থেকে সেই নামে সিলমোহর পেতে কিছুটা সময় লেগেছে। গত ২৮ মে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার পদে মেয়াদ শেষ হয়েছিল সৌরভ দাসের। নিয়মমাফিক পরবর্তী কমিশনারের নাম প্রস্তাব করে রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়েছিল নবান্ন। প্রাক্তন মুখ্যসচিব রাজীবের নামই পরবর্তী কমিশনার হিসাবে সুপারিশ করা হয়। কিন্তু রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস প্রথমেই সেই নামে অনুমোদন দেননি। একটা নাম পাঠানোয় ওই সুপারিশে ছাড়পত্র দিতে নারাজ ছিল রাজভবন। যা নিয়ে বেশ কিছু দিন টানাপড়েন চলে। নবান্নকে আরও নাম পাঠাতে বলা হয়েছিল। রাজভবনের দাবি মেনে কমিশনার হিসাবে দ্বিতীয় নামও সুপারিশ করা হয়। রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব পদমর্যাদার অফিসার অজিতরঞ্জন বর্ধনের নাম কমিশনার হিসাবে প্রস্তাব করে নবান্ন। তবে কমিশনার হিসাবে আর কোনও নাম তারা পাঠাতে রাজি হয়নি।
অবশেষে রাজীবের নামেই সিলমোহর দিয়েছেন রাজ্যপাল বোস। বুধবার নতুন পদে দায়িত্ব নিয়েছেন রাজীব। আর কয়েক মাসের মধ্যেই নির্বাচন হওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে তাঁর নেতৃত্বেই হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের ইতিহাস খুব একটা শান্তিপূর্ণ নয়। সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচনের আয়োজন করা কি তবে রাজীবের কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ? প্রশ্ন শুনে নতুন নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘‘আপনাদের কাছে তা চ্যালেঞ্জ মনে হতে পারে। আমার কাছে এটা কাজ। তা ছাড়া আর কিছু নয়।’’