প্রতীকী ছবি।
গণতন্ত্রের বৃহত্তম কর্মকাণ্ড নির্বাচনে কেউ যেন বাদ না-পড়েন। নির্বাচন কমিশনের লক্ষ্য এটাই। সেই জন্য প্রতিবন্ধী ভোটারদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছে তারা। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও)-এর দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভোটার তালিকায় নাম তোলানোর জন্য এই ধরনের নাগরিকদের কোথাও যেতে হবে না। তাঁদের বাড়িতেই পৌঁছে যাবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই জেলা স্তরে নির্দেশ পাঠিয়ে দিয়েছে সিইও-র দফতর।
সমাজকল্যাণ দফতরের অধীন বিভিন্ন প্রকল্পে এমন অনেক প্রতিবন্ধীর নাম রয়েছে, যাঁরা ভোটার তালিকাভুক্ত নন। তাঁদের খুঁজে বার করতে ওই সব প্রকল্পকে ব্যবহার করছে জেলা প্রশাসন। তবে শুধু যে প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত নামের উপরেই ভরসা করা হচ্ছে, তা নয়। স্থানীয় স্তরে বিভিন্ন দফতরের কর্মীদের ব্যক্তিগত তথ্যভাণ্ডারকেও কাজে লাগাচ্ছে জেলা প্রশাসন। এ ভাবে বিভিন্ন উপায়ে প্রতিবন্ধীদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে দু’লক্ষেরও বেশি প্রতিবন্ধী ভোটারের নাম উঠেছে তালিকায়।
নাম তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগের পাশাপাশি ভোটের দিনেও প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ এবং হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের কিছু অংশে ভোট দিতে দোতলায় যেতে হয় ভোটারদের। তাতে সমস্যায় পড়েন প্রতিবন্ধীরা এবং বয়স্কেরাও। তাঁদের সুবিধার্থে এ বার ওই সব বুথে পৌঁছনোর জন্য বিশেষ চেয়ারের ব্যবস্থা করছে কলকাতা উত্তর নির্বাচনী জেলা। ওই পথে হাঁটতে পারে কলকাতা দক্ষিণ নির্বাচনী জেলাও। উত্তর কলকাতায় ১৮৬২টি বুথের মধ্যে ৬৭০টিই দোতলায়। তেতলায় আছে গোটা পঞ্চাশ বুথ। কলকাতা দক্ষিণে ২০৩১টি বুথের মধ্যে ১৯০টি আছে দোতলায়। হাওড়ায় ১৮৬৮টি বুথের মধ্যে ১৫০টিতে দোতলায় গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে হয় আমজনতাকে। কলকাতা উত্তর জেলার নির্বাচনী অফিসার দিব্যেন্দু সরকার জানান, কোনও বুথে প্রতিবন্ধী ভোটার বেশি হলে একই চত্বরে থাকা বুথের জায়গা বদলে দোতলা থেকে একতলায় করা হতে পারে।