লোকসভা নির্বাচনের সময়ে গোটা রাজ্যকে ‘অতি সংবেদনশীল’ ঘোষণা করার জন্য আজ নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানাল বিজেপি।—ফাইল চিত্র।
২০১৯ লোকসভা ভোটের ঢাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কাঠি পড়ার আগেই ভোটের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত অফিসারদের বিষয়ে পদক্ষেপ করতে শুরু করল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। দিন কয়েক আগেই রাজ্য সরকারকে তারা জানিয়েছে, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের কাজে যুক্ত এক জন অফিসার যে পদে ছিলেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে সেই পদে তিনি থাকতে পারবেন না। সাধারণ নিয়ম হল, ভোটের কাজে যুক্ত কোনও অফিসার তিন বছর বা তার বেশি সময় একই পদে থাকলে ভোটের আগে তাঁকে অন্য পদে পাঠানো হয়। সেই হিসেবে ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে দায়িত্ব পালন করা কোনও অফিসার ২০১৯-এর ভোটে ওই একই পদে থাকতে পারবেন না। কিন্তু ভোটের অনেক আগেই যে ভাবে বদলি প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ কমিশন দিয়েছে, তাতে বিস্মিত রাজ্যের অফিসার মহল।
নির্ধারিত সময়ে হলে আগামী এপ্রিল-মে মাসে লোকসভা ভোটের হওয়ার কথা। তবে তার আগেই ভোট হতে পারে বলে ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত মিলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়। কমিশনের নির্দেশও তাতে ইন্ধন জোগাল বলে মনে করছেন রাজ্যের অফিসারদের একাংশ।
লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে সাধারণত জেলাশাসক বা মহকুমাশাসক বা বিশেষ কোনও পদাধিকারী (স্পেশাল পোস্টিং) রিটার্নিং অফিসার হন। ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ইআরও) পদে থাকতে পারেন মহকুমাশাসক বা সমতুল পদের কেউ। ভোটার তালিকার ক্ষেত্রে সাধারণত ইআরও-রা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (এইআরও) পদে বিডিও থাকেন। এঁদের সকলের ক্ষেত্রেই কমিশনের নির্দেশ কার্যকর হবে। উল্লেখ্য, রাজ্যে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজকর্ম ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।
কয়েকদিন আগে জেলাশাসক স্তরে রদবদল হয়েছে। তাই কমিশনের নির্দেশ ওই স্তরে কার্যকর করার দরকার নেই বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তারা। কিন্তু মহকুমাশাসক বা বিডিও বা তার সমতুল অফিসারদের বদলি করতে হতে পারে। কারণ, সম্প্রতি এই স্তরে বড়সড় রদবদল হয়নি।