—প্রতীকী চিত্র।
নির্বাচন কবে, এখনও দিন ঘোষণা হয়নি। তার আগে মার্চের শুরুতেই রাজ্যে চলে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ১৫০ কোম্পানি বাহিনী এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে। কোন জেলায় কত বাহিনী মোতায়েন করা হবে, প্রাথমিক ভাবে সেই ভাগাভাগি করে একটি তালিকা প্রকাশ করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের তালিকা অনুযায়ী, কলকাতায় মোট ১০ কোম্পানি বাহিনী থাকবে। তার মধ্যে বিএসএফ আট কোম্পানি এবং সিআরপিএফ দুই কোম্পানি। এ ছাড়া হাওড়া এবং হুগলিতে নয় কোম্পানি করে বাহিনী মোতায়েন করা হবে। শুধু চন্দননগরেই থাকবে পাঁচ কোম্পানি বিএসএফ।
উত্তর ২৪ পরগনায় মোট ২১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। বারাসত পিডি (তিন), বনগাঁ পিডি (তিন), বসিরহাট পিডি (পাঁচ), ব্যারাকপুর পিডি (ছয়), বিধাননগর পিডিতে (তিন) কোম্পানি ভাগ করা হয়েছে। প্রতি ক্ষেত্রেই মোতায়েন করা হয়েছে বিএসএফকে। কেবল বিধাননগরে বিএসএফের সঙ্গে এক কোম্পানি সিআরপিএফও থাকবে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর, ডায়মন্ড হারবার এবং সুন্দরবন বিভাগে মোট নয় কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। এ ছাড়া, বীরভূমে চার, বাঁকুড়ায় চার, পূর্ব মেদিনীপুরে সাত, পশ্চিম মেদিনীপুরে পাঁচ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে।
নদিয়া জেলায় আট কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া, মুর্শিদাবাদে আট, পূর্ব বর্ধমানে চার, পশ্চিম বর্ধমানে ছয়, পুরুলিয়ায় চার, ঝাড়গ্রামে তিন কোম্পানি বাহিনী থাকবে।
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে দার্জিলিঙে সাত কোম্পানি, কোচবিহারে পাঁচ কোম্পানি, আলিপুরদুয়ারে তিন কোম্পানি, জলপাইগুড়িতে চার কোম্পানি, কালিম্পঙে দুই কোম্পানি বাহিনী থাকবে। উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে থাকবে যথাক্রমে সাত এবং চার কোম্পানি বাহিনী। মালদহে থাকবে সাত কোম্পানি বাহিনী।
১ মার্চ থেকে রাজ্যে দফায় দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। প্রতি দিন তাদের বিভিন্ন এলাকায় রুট মার্চ করতে দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের মধ্যে যাতে নির্বাচনের আগে নিরাপত্তা, সুরক্ষার বার্তা দিতেই রুট মার্চ করছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। ইতিমধ্যে নির্বাচনী বিধি সংক্রান্ত আলোচনার জন্য রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে কমিশনের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের বৈঠকও হয়ে গিয়েছে।