—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
রাজ্যের চার জেলার সর্বত্র এবং অন্য দু’টি জেলার অন্তর্গত তিনটি বিধানসভা এলাকায় বাংলা আবাস যোজনার অধীনে বাড়ি তৈরির প্রকল্প বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ছ’টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন। ওই সব জায়গায় আদর্শ নির্বাচনী বিধি জারি করা হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, যে সব এলাকায় উপনির্বাচন হবে সে সকল জায়গায় আবাস যোজনার কাজ চললে ভোটে তার প্রভাব পড়তে পারে। এ নিয়ে সোমবার কমিশনের দ্বারস্থ হয় তারা। তার পরেই মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচন যে সব জায়গায় হবে, সে সকল জায়গায় আবাস যোজনার বাড়ি তৈরি সংক্রান্ত সমীক্ষার কাজ করা যাবে না।
সোমবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-র দফতরে গিয়েছিল বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে তারা জানায়, বাংলা আবাস যোজনায় পাকা বাড়ির জন্য এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকা সরকারি অনুদানের যাচাই করা (ভেরিফিকেশন)-র কাজ শুরু হয়েছে সোমবার থেকে। অন্য দিকে, উপনির্বাচনের জন্য পাঁচ জেলায় আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়েছে। বিজেপি দাবি করে, যে পাঁচ জেলায় উপনির্বাচন রয়েছে, সেখানে এই যাচাই করার কাজ বন্ধ রাখা হোক। সেই দাবি মেনে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন জানায়, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সঙ্গে জলপাইগুড়ি ও উত্তর ২৪ পরগনার অন্তর্গত যে তিন বিধানসভা এলাকায় উপনির্বাচন সেখানে আবাস প্রকল্পের কাজ উপনির্বাচন না মেটা পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে। তবে অন্যান্য জেলা এবং জলপাইগুড়ি-উত্তর ২৪ পরগনার বাকি অংশে এই কাজ চলতে পারে।
আগামী ১৩ নভেম্বর কোচবিহারের সিতাই, আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট (এই বিধানসভার কিছু অংশ জলপাইগুড়ি জেলার মধ্যে পড়ে), উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া ও নৈহাটি, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়ার তালড্যাংরায় উপনির্বাচন রয়েছে। ২৩ নভেম্বর ভোটের ফলঘোষণা।